সময় এখন ডেস্ক:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২৫ মার্চ ডাকসু নেতা নুরুল হক নুরুর ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি প্রতিবাদী মিছিল বের করেছিল।
সেই মিছিল থেকে পুলিশের ওপর চড়াও হয় সংগঠনের বেশ কিছু উগ্রবাদী নেতাকর্মী। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হয়। যাদের কয়েকজন এখনও আইসইউতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এক যুবককে আটক করলে তাকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায় পরিষদের কর্মীরা।
আসামি তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ২ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল বিন ইয়ামিন মোল্লা ও আরেফিন হোসেন নামের দুই আসামিকে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শাহিনুর রহমান তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হাম’লা করা হয়।
এ সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। আটক আজাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলার আসামি ইয়ামিন, আরেফিনসহ ১৯ জন।
ইয়ামিন মোল্লা ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। আর আরেফিন হোসেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ক্রীড়া সম্পাদক।
৫ এপ্রিল তাদের দুজনকে ২ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা জোনাল টিমের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান।
আসামিদের জেরার জন্য ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ও খাদেমুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে ২ আসামিকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।