‘ভাঙচুর যা হওয়ার হয়ে গেছে, তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না’

0

সময় এখন ডেস্ক:

গত মার্চ মাস থেকে ক্রমাগত সরকার পতনের হুম’কি দিয়ে তা’ণ্ডব চালানোর পর পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে আরও নমনীয় হয়েছে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।

সদরদপ্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় আলোচিত বৈঠক শেষে সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের যু’দ্ধ নাই। সরকার পতন আমাদের কাজ নয়। হেফাজতের কাজ ইমান আকিদা রক্ষা করা। আর আন্দোলন ভাঙচুর যা হওয়ার হয়ে গেছে, এ নিয়ে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

তবে গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে ভাঙচুরের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন জুনায়েদ বাবুনগরী।

তিনি বলেন, গত ২৬ মার্চ যে ঘটনা ঘটেছে, ওই দিন হেফাজতে ইসলামের কোনও কর্মসূচি ছিল না। জাতীয় ও আঞ্চলিক কোনও জায়গায় আমাদের কোনও কর্মসূচি ছিল না। এ কারণে বিষয়টি আমরা ওয়াকিবহাল ছিলাম না। আমি নিজেও অনেক দূরে ছিলাম।

কিছু মানুষ মিছিল বের করেছে, তারা বলেছে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেছি। এই শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রশাসনের কিছু লোক, পুলিশ বাহিনী গু’লি করে। হাটহাজারীতে ৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। আমাদের কথা হচ্ছে, তারা কারা আমরা জানি না, আমরা ছিলামই না।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজত আমির বলেন, আজকে আমাদের বৈঠকে কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, কাউকে প্রত্যাহার অথবা অ’ব্যাহতি দেওয়ার কোনও আলোচনা হয়নি।

মামুনুল হকের বিষয়ে আমাদের একটি জবাব, এটি উনার ব্যক্তিগত বিষয়। এর বাইরে আমরা এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।

জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, তারা যদি কিছু ভাঙচুরও করে, তাহলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে পারে। রাবার বুলেট ছুড়তে পারে। এরপর গু’লি করতে হলেও হাঁটুর নিচে করবে। যেন উত্তে’জনা দমন হয়ে যায়। কিন্তু আমি সফরে ছিলাম, সফর থেকে আসার পথে হাসপাতালে গিয়েছি। চমেক হাসপাতালে সেখানে কারও পেটে, কারও বুকে, কারও মাথায় গু’লি দেখেছি। এগুলো কি দেশের আইন?

তিনি আরও বলেন, হাটহাজারীর ঘটনার আগে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লি আর আওয়ামী ক্যাডারদের সঙ্গে সংঘ’র্ষ হয়েছে। সেখানেও হেফাজতের কোনও কর্মসূচি ছিল না।

পুলিশি হয়রা’নি বন্ধের দাবি জানিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি হলো, যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। যাদের কপালে আছে শহিদি ছিল, তাদের কপাল ভালো। যা হওয়ার আছে, হয়ে গেছে। মাদ্রাসা এখন বন্ধ।

কিন্তু প্রতি রাতে এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব বের হয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রা’নি করতেছে। ধরে নিয়ে যাচ্ছে, গ্রেপ্তার করতেছে, চালান করে দিচ্ছে। এসব কেন করা হচ্ছে। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, এসব বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের উপদেষ্টা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা সালাউদ্দিন নানুপুরী, আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!