অনলাইন ডেস্ক:
একটি মার্কেটের শো-রুম থেকে প্যান্ট চুরি করার পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা খেলেন ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় তাকে ৩২০ টাকা জরি’মানাও গুণতে হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মিজানুর রহমান ওরফে জুয়েল রানা। তিনি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া বাজারের প্রদীপ সুপার মার্কেটে।
অভিযোগ উঠেছে, জুয়েল রানা ওই মার্কেটের গার্মেন্ট ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ এর দোকান থেকে একটি প্যান্ট চুরি করেন। চুরির একদিন পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে বিষয়টি।
তবে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা দাবি করেন, আমি প্যান্টটা চুরি করিনি, মজা করেছি। সন্ধ্যায় মজা করে সকালে ওই প্যান্ট পরে এসে টাকা দিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, একজন অপরিচত মানুষ আমাকে মার্কেটের পেছনে পানের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এরপর থেকে আমি আর কথা বলতে পারিনি। একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। বিষয়টি অনেকেই জেনে যাবে তাই, কোনো কথা না বলে প্যান্টটা নিয়ে যাই।
আর গার্মেন্ট ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ জানান, শনিবার বিকেলের পর প্যান্টটা চুরি হয়। তিনি দোকানে ছিলেন না। তার ছোট ভাই দীপ ছিল। তিনি প্যান্টটা দেখতে না পেয়ে দীপকে জিজ্ঞেস করেন। সেও বলতে পারে না। এরপর পাশের দোকানের সিটিটিভির ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রানাকে শনাক্ত করেন।
পরে তাকে ফোন দিলে জুয়েল রানা তাকে জানায়, ভাই আমি বিষয়টি আপনাকে বলবো বলবো মনে করছিলাম। কিন্তু আপনিই ফোন দিলেন। এরপরে জুয়েল রানা মার্কেটে আসেন।
পরে গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সারওয়ার ও সম্পাদক পাপুল সরকারের উপস্থিতিতে ৩২০ টাকা জরি’মানা দেয় এবং ঘটনার জন্য ক্ষমা চান।
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এখনও সত্যতা জানেন না। তবে কেউ অভিযোগ করলে তার বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।