বিশেষ প্রতিবেদন:
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর এ কারণে ভয়ে কাছে ভিড়ছেন না তার পরিবারের কেউ।
এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অনেক ব্যস্ত থাকি এ কারণে উনার (খালেদা) যত্ন নেয়ার সুযোগ হয় না। সঙ্গে আমার স্ত্রীও ইদানীং প্রচুর ব্যস্ত থাকে, এ কারণে তার কাছে যেতে পারছে না। তবে সামনে সুযোগ পেলেই আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে যাবো।
অপরদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, এমতাবস্থায় তার পরিচর্যা প্রয়োজন বলে মনে করেন তার বোন সেলিমা ইসলাম।
তিনি বলেন, উনার বয়স হয়েছে, এ সময় তার পাশে থাকতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমার বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই। আমার স্বামী বা আমি গিয়ে যদি তার কাছে থাকি, তখন আমরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারি। এছাড়া আমরা সকলে করোনার টিকা নিয়েছি। উনাকেও (খালেদা) নিতে বলেছিলাম, কিন্তু তার ছেলে তারেক রহমানের জন্য দিতে পারিনি।
আর এ কারণেই খালেদা জিয়ার করোনা হয়েছে। এখন কি তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান পারে না তার সেবা করতে? শাশুড়ির যত্ন নিতে ঢাকায় আসতে? সব দায়িত্ব কি শুধু আমাদের একার?
ডা. জোবায়দা রহমান কেন আসছেন না? এ বিষয়ে জানতে তার ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে খালেদা জিয়ার গুলশানে অবস্থিত বাড়ি ফিরোজার কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ও তার সেবা করছেন গৃহ পরিচারিকা ফাতেমা। তিনি নিজেই খালেদা জিয়ার সেবা করতে করতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে্ছেন।
এ বিষয়ে ফাতেমার পরিবার জানায়, পরিবারের কেউ খালেদা জিয়ার দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায় বাধ্য হয়ে ফাতেমাকেই খালেদার সেবা করার জন্য থাকতে হচ্ছে। তার এ সময় বিশ্রাম আর চিকিৎসার প্রয়োজন, কিন্তু কিছুই করা হচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি ম্যাডামের পরিবারের ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা চাইলেও ম্যাডামের কোনো খবর নিতে পারছি না। তবে আমি মনে করি, ডা. জোবায়দা রহমানের অন্তত উচিত ম্যাডামের সেবা করার জন্য বাংলাদেশে আসা।
127