প্রেমিক পুরুষ মামুনুলের কত প্রেম, কত বিয়ে?

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

বাংলাদেশ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি হলো মামুনুল ইস্যু। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব এবং হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের লা’স্পট্য, ব্যা’ভিচার, একাধিক বিয়ে, প্রেম, আপত্তিকর ফোনালাপ- সারা দেশের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

একদিকে যেমন করোনার দাপট, লকডাউনে অর্থনৈতিক অ’নিশ্চয়তা, তার মধ্যে মামুনুলই যেন মানুষের বিনোদনের এখন একমাত্র খোরাকে পরিণত হয়েছেন।

প্রথমে মামুনুল বলেছিলেন, ঝর্ণা তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং শরিয়া সম্মত উপায়ে তিনি তাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ঝর্ণার ডায়েরি এবং তার কথাবার্তা থেকে এখনও স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি জান্নাত ওরফে ঝর্ণাকে আসলে বিয়েই করেননি বরং তার সাথে জালিয়াতি করেছেন।

এখন আরেক জান্নাতের সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনিও মামুনুলের স্ত্রী বলে জান্নাতের ভাই দাবি করেছেন। ২০২০ সালে অর্থাৎ গত বছর তাদের বিয়ে হয়েছে বলেও তার ভাই জানিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত মামুনুলের ৩টি স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু যারা মামুনুলেন সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, মামুনুলকে যারা দীর্ঘদিন ধরে চেনেন, তারা মনে করছেন, মামুনের স্ত্রীর সংখ্যা আরো বেশি। মামুনুল একাধিক নারীর সঙ্গে অ’বৈধ সম্পর্ক রেখেছেন এবং তাদের সাথে মামুনুলের সম্পর্ক আছে এমন কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মামুনুলে দিক থেকেও এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে মামুনুলের লা’ম্পট্যের বিভিন্ন প্রমাণ এখন সামনে চলে আসছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও মামুনুলের ব্যাপারে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছেন।

মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। সেখানে একজন ছেলে শিক্ষার্থীকে ধ- চেষ্টার অভিযোগে তিনি সাসপেন্ড হন। এছাড়াও কেরানীগঞ্জে এক মাদ্রাসার নারী শিক্ষার্থীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তিনি তার সাথে অ’নৈতিক সম্পর্ক গড়েছিলেন এরকম অভিযোগও আছে।

সোমবার হাটহাজারীতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে মামুনুলকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। যদিও প্রকাশ্যে হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী সাংবাদিকদের বলেছেন, রয়েল রিসোর্টের ঘটনা মামুনুলের নিজস্ব বিষয়। এটি হেফাজতের এখতিয়ারাধীন বিষয় নয়। একইসঙ্গে তিনি বৈঠকে মামুনুল হককে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও দাবি করেছেন।

কিন্তু এটিও একটি অসত্য বক্তব্য বলেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। কারণ ওই বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা নিশ্চিত করেছেন, বৈঠকের একটা বড় অংশজুড়ে শুধু মামুনুল হকের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড এবং হেফাজতে ইসলামের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মামুনুলের একাধিক নারীর সঙ্গে প্রকাশ্য ও গোপন সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

আহমদ শফী যখন হেফাজতের আমির ছিলেন তখন মামুনুলের বিরু’দ্ধে নারী নির্যা’তন, যৌ- হয়রা’নিসহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছিলো। সেই সময়ে মামুনুলকে আহমদ শফী ডেকে এনে তির’স্কার করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড যেন আর না ঘটে সেজন্য আহমদ শফী তাকে তওবা পড়িয়েছিলেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ কারণেই মামুনুল হক পরবর্তীতে ক্ষোভ থেকেই আহমদ শফীর বিরোধীতা করেছিলেন। শফীর জীবদ্দশায় হেফাজতে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েন। জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির বানানোর ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে মামুনুল অন্যতম ছিলেন। জুনায়েদ বাবুনগরীর অন্যতম খুঁটি হিসেবে মামুনুলের কথা হেফাজতের সবাই জানে। আর এ কারণেই মামুনুলের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি নন জুনায়েদ বাবুনগরী।

হেফাজতের অধিকাংশ নেতা বলেন, মামুনুলকে অন্ততপক্ষে দলের পদ থেকে আপাতত সরিয়ে দেয়া উচিত। কিন্তু এটি যদি জুনায়েদ বাবুনগরী করেন তাহলে তার শক্তির ভিত অনেকখানি নষ্ট হয়ে যায় এ কারণে তিনি এই ঝুঁ’কি নিতে চাননি। এ জন্যই জুনায়েদ বাবুনগরীর আমির হওয়ার পর মামুনুল হক বে’পরোয়া হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন নারীর সঙ্গে নানা রকম সম্পর্কে জড়িয়ে যান।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মামুনুলের একাধিক টেলিফোন কথোপকথন এসেছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপরই জানা যাবে আসলে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কত বিয়ে, কত প্রেম এবং কত ব্যা’ভিচার। বাংলাইনসাইডার।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!