কৃষক লীগ সভাপতির পায়ের রগ কাটল হেফাজত ও শিবির কর্মীরা

0

সময় এখন ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হকের নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় রিসোর্টে আটকের ঘটনায় সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় কৃষক লীগের এক নেতার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গত সোমবার সকালে কক্সবাজারের পেকুয়ায় ‘তুই হেফাজতের বিরু’দ্ধে বেশি লেখালেখি করেছিস’ বলে এই হাম’লা চালানো হয়েছে। আহত সরওয়ার উদ্দিনকে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত সরওয়ার উদ্দিন পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়নের সবজীবনপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে।

এ ঘটনায় আহত সরওয়ার উদ্দিনের পক্ষে মঙ্গলবার পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে হেফাজতকর্মী ও সাবেক শিবির ক্যাডার মুবিনুল হক ও জালাল উদ্দিনকে। এই দুজনের নামে না’শকতা এবং বন সংরক্ষণ আইনেও মামলা রয়েছে।

বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের নারী নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট দেন কৃষক লীগ নেতা সরওয়ার উদ্দিন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে সরওয়ারের ওপর হাম’লা চালায় সাবেক শিবির ক্যাডার মুবিনুল হক, জালাল উদ্দিনসহ একদল হেফাজতকর্মী। তারা রড দিয়ে সরওয়ারের শরীরে আঘা’ত করে এবং তার ডান পায়ের রগ কেটে দেয়।

আহত সরওয়ার উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাইস্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর পাশেই মানিকের দোকানে নাশতা করতে যান।

এ সময় দোকানের ভেতর বসে থাকা সাবেক শিবির ক্যাডার মুবিনুল হক ও জালালের নেতৃত্বে একদল হেফাজতকর্মী তাকে ঘিরে ধরে। তারা ‘তুই হেফাজতের বিরু’দ্ধে বেশি লেখালেখি করেছিস’ এবং বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে ক’টূক্তি করে তাকে রড দিয়ে ব্যাপক প্র’হার করতে থাকে। একপর্যায়ে তার ডান পায়ের রগ কেটে দেয়।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন।

কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরু’দ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি তদন্ত করতে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের সত্যতা মিললে মামলা দায়েরসহ জড়িতদের বিরু’দ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন !
  • 316
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!