অনলাইন ডেস্ক:
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ১৪ এপ্রিল থেকে ৮ দিনের লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। বাইরে যাওয়া আসার ব্যাপারে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধিবিধান। তবে এই লকডাউনের মধ্যে অত্যন্ত জরুরি কাজে যাদের বাইরে যেতেই হচ্ছে বাধ্য হয়ে, তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
কঠোর এই লকডাউন যখন চলছে, তার মধ্যে প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবার দুপুরে জনৈক আজিজুর রহমানের ইচ্ছা হয় শিং মাছ খাওয়ার। সেজন্য মুভমেন্ট পাস নিয়ে উত্তরার বাসা থেকে রওনা হন রাজধানীর মালিবাগের উদ্দেশে।
বাসা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন আজিজ। কিন্তু পথে থামায় পুলিশ। আজিজুর রহমান পুলিশ সদস্যদের তার মুভমেন্ট পাস দেখান, যা তিনি নিয়েছিলেন বাজার করার জন্য। কিন্তু তাতে মন গলেনি পুলিশের।
ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যরত সার্জেন্ট মনে করেছেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিং মাছ কিনতে উত্তরা থেকে মালিবাগ যাওয়াটা পাসের অপ’ব্যবহার। আর সেই কারণে জরি’মানা করা হয় আজিজুরকে।
সরকারি আদেশ ভঙ্গ করার অভিযোগে রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের সামনে বসানো চেকপোস্টে মোটরসাইকেল আরোহী আজিজুর রহমানকে জরি’মানা করা হয় ৩ হাজার টাকা। রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে তাকে জরি’মানা করেন সার্জেন্ট শেখ জোবায়ের আহমেদ।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে আসতে বারণ করা হয়েছে, আমরা তা বাস্তবায়ন করছি। একজন মানুষ উত্তরা থেকে মালিবাগ শিং মাছ কিনতে যাচ্ছে- এটা কোনভাবেই জরুরি কাজ হতে পারে না।
পুলিশের বিবেচনায় মুভমেন্ট পাসের অপ’ব্যবহার করা অনেকেই খেয়েছেন এমন মামলা ও গুণেছেন জরি’মানা। সে অঙ্কটা কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা। তবে এসব জরি’মানা শুধু যারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস বা মোটরসাইকেলের মতো ব্যক্তিগত যান ব্যবহার করছেন তাদেরই করা হচ্ছে।
দরকার ছাড়া হেঁটে বা রিক্সায় চড়ে যারা বের হয়েছেন তাদের পাস না থাকলে বাসায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
* সংবাদে ব্যবহৃত ছবিটি প্রতীকী।