টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ব্যক্তি নিজেকে নারী সাজিয়ে এক যুবককে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার দাড়িয়াপুর ফালু চাঁনের মাজারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩ মাস আগে ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে আলতাফ আলী (৩৫) নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে দাড়িয়াপুর মাজারপাড় এলাকায় আসেন। ওই কবিরাজ মাঝেমধ্যে শাড়ি পরেও এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন।
তিনি সন্তানহীন নারীদের সন্তানদানের ঝাড়ফুঁক দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন বাড়িতে গত ৩ মাস ধরে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে ওই এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
ওই যুবক ও তার পরিবারকে আলতাফ আলী টাকার লোভ দেখিয়ে বলেন- “আমি রাত ১২টার পর নারীতে রূপান্তরিত হবো। আমাকে বিয়ে করলে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হবেন।”
গত মঙ্গলবার রাতে ওই যুবক ও কবিরাজ আলতাফের সম্মতিতেই তাদের বিয়ের প্রস্তুতি চলে। লোভে পড়ে যুবকের পরিবারেরও সম্মতি ছিল বলে জানা গেছে। বুধবার সকালে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা উত্তে’জিত হয়ে ওই কবিরাজকে ধরে এনে উত্তম মধ্যম দেয়।
পরে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ, সাবেক চেয়ারম্যান শাইফুল ইসলাম শামীম, সানোয়ার হোসেন মাস্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কবিরাজকে জনতার হাত থেকে রক্ষা করেন।
স্থানীয়রা দাবি করেন, দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের কাজী মাসুদ রানা ১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে পড়িয়েছেন।
এ বিষয়ে কাজী মাসুদ রানার বলেন, একটি বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে হবে বলে আমাকে ওই এলাকায় যেতে বলা হয়েছিল। ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের (পাত্রীর) জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে বলি। পরিচয়পত্র দিতে না পারায় আমি সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এসেছি। রেজিস্ট্রি বা বিয়ে পড়ানোর তো কোনো প্রশ্নই উঠে না। কিছু লোক আমার বিরু’দ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কবিরাজ আলতাফের পরিবারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ভাতিজা ইয়ামিন বলেন, আলতাফ আলী আমাদের এলাকায়ও (ঘাটাইল) কবিরাজি করত। কিন্তু সে একটি ছেলেকে বিয়ে করবে এটা মেনে নিতে পারছি না।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ওই কবিরাজকে স্থানীয়দের অনুরোধেই ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।