বিশেষ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। বিশেষ করে হেফাজতের তা’ণ্ডবের পেছনে বিএনপির যে গুজব সেল রয়েছে তারা ছিল সক্রিয়।
সূত্র বলছে, বিএনপির পেইড এজেন্টরা ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রা’ন্ত করছে। এছাড়াও ইসলামপন্থী হেফাজতের কর্মীদের উসকে দিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বিএনপির এসব পেইড এজেন্ট।
এবার তারেক রহমানের ইশারাতে হেফাজত ইস্যু ও মামুনুলের নারী কেলে’ঙ্কারির ঘটনাকে সামনে রেখে গুজব রটাতে আমেরিকা থেকে বিএনপির নতুন পেইড এজেন্ট হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদ।
ইতোমধ্যেই বিএনপির গুজব সেলের পেইড এজেন্টদের মধ্যে হলুদ সাংবাদিক তাসনিম খলিল, কনক সরওয়ার, রাজাকারপুত্র ইলিয়াস, কর্নেল (অব.) শহিদ নিজেদের অপকর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।
এবার তাদের সাথে আমেরিকা থেকে নতুন যুক্ত হয়েছেন আরেক জালিয়াত ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদ। যিনি বাংলাদেশ থেকে সাধারণ জনগণের বিপুল অংকের টাকা লোপাট করে আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির গুজব সেলে ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদের যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্য যুবদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল খায়ের বলেন, এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের বেলমন্ড রিসোর্টে বিএনপির একটি অনুষ্ঠানে আমি সর্বপ্রথম ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদের সাথে পরিচিত হই। মূলত তারেক ভাইয়া আমাদের সকলের সামনে ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদকে আমাদের দলে নবাগত বলে পরিচয় করিয়ে দেন।
তথ্যসূত্র বলছে, বিগত কিছুদিন ধরেই হলুদ সাংবাদিক কনক সরওয়ারের ইউটিউবের কয়েকটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসে একের পর এক সরকারের বিরু’দ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদ। বিশেষ করে হেফাজত ইস্যু ও মামুনুল হকের নারী কেলে’ঙ্কারীর পক্ষে সাফাই গেয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রধান, সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গান সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছেন জালিয়াত ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদ।
জানা যায়, ২৬ মার্চ আমেরিকার একটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ’স্ত্র ব্যবসা ও জ’ঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদের বিরু’দ্ধে। জনগণের টাকা লোপাট করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইংল্যান্ডের টোরি পার্টির ফান্ডে ২০ হাজার পাউন্ড অনুদান দেয়ার বিষয়টিও এফবিআই এর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
এতে আর বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপ’ব্যবহারের দায়ে সাজা পাওয়া এ সেনা কর্মকর্তার বিরু’দ্ধে বাংলাদেশের জ’ঙ্গিবাদে মদদ দেয়া, অ’স্ত্র ব্যবসা, জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার ঢাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে উগ্রবাদী বই, অ’বৈধ অ’স্ত্র উদ্ধার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
মূলত ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদের এমন অপকর্ম কখনোই সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দ্বারা সমর্থনযোগ্য নয়। অনিয়মে ভরা দুর্নীতিগ্রস্ত বিএনপির এই পেইড এজেন্ট একটি রাষ্ট্রবিরোধী পক্ষে সম্পৃক্ত হয়ে রাষ্ট্রের বিরু’দ্ধে বিদেশের মাটিতে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নিউজব্যাংক।
135