আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের লোক নায়েক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালের চিত্র এটি। কোন হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরে, বারান্দায় দেখা গেছে বহু রোগী যারা অনেকেই অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অটোরিকশা যোগেও হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন।
জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালটিতে ৫৪টি বেড রয়েছে, সেখানে এখন ৩শর মতো রোগী যাদের অবস্থা গুরুতর। যেটি মোটেও যথেষ্ট নয়। একজন মা’রা যাওয়ার পর ডেডবডি মর্গে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে ওই বেডে আরেকজন এসে ভর্তি হচ্ছে। অন্যদিকে, হাসপাতালের বাইরে প্রিয়জনের ডেডবডি নিতে প্রচুর ভিড় বাড়ছে মানুষের।
বৃহস্পতিবারও হাসপাতালটিতে ১৫৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের ওপর রোগীর বোঝা বাড়ছে। আমরা সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করছি, বলেন হাসপাতাল পরিচালক ড. সুরেশ কুমার।
বৃহস্পতিবারই ভারতে করোনার সংক্রমণ ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
ড. সুরেশ কুমার বলেন, মানুষ কেয়ারলেস আচরণ করার কারণে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়ছে। করোনা শুরুর পর এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এর ভ’য়াবহতা সবাই দেখেছে, দেখছে। তবুও যদি আমরা সচেতন না হই, তবে মুখাগ্নি করারও লোক থাকবে না।
ভারতে কুম্ভমেলায় ৩০ সাধুসহ ২,১৯৭ জনের করোনা
ভারতের হরিদ্বারে আয়োজিত কুম্ভমেলায় ৩০ সাধুসহ ২ হাজার ১শ ৯৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ভারতজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে পুণ্যার্থীদের জমায়েত কুম্ভমেলায় লাখো মানুষ সমবেত হয়।
এনডিটিভি জানায়, কুম্ভমেলায় অংশ নেওয়া ভক্ত ও দর্শনার্থীদের একাধিক আখড়ায় আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার ব্যবস্থা ছিল। ১০ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১শ ৬৭ জনের। আরও অনেকের ফলাফল হাতে আসা এখনো বাকি।
হিমালয়ের কোল ঘেঁষে উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে বসে কুম্ভমেলার আসর। প্রতি ১২ বছরে একবার গঙ্গা নদীর পাড়ে মহা কুম্ভমেলা আয়োজন করা হয়।
প্রতিবারই দেশ-বিদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গঙ্গাস্নান করতে কুম্ভমেলায় সমবেত হন। এবার হরিদ্বার, তেহরি, দেরাদুন জেলার ৬৭০ হেক্টরের বেশি এলাকাজুড়ে মেলা চলছে।