আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের হরিদ্বারে আয়োজিত কুম্ভমেলায় ৩০ সাধুসহ ২ হাজার ১শ ৯৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ভারতজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে পুণ্যার্থীদের জমায়েত কুম্ভমেলায় লাখো মানুষ সমবেত হয়।
এনডিটিভি জানায়, কুম্ভমেলায় অংশ নেওয়া ভক্ত ও দর্শনার্থীদের একাধিক আখড়ায় আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার ব্যবস্থা ছিল। ১০ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১শ ৬৭ জনের। আরও অনেকের ফলাফল হাতে আসা এখনো বাকি।
হিমালয়ের কোল ঘেঁষে উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে বসে কুম্ভমেলার আসর। প্রতি ১২ বছরে একবার গঙ্গা নদীর পাড়ে মহা কুম্ভমেলা আয়োজন করা হয়।
প্রতিবারই দেশ-বিদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গঙ্গাস্নান করতে কুম্ভমেলায় সমবেত হন। এবার হরিদ্বার, তেহরি, দেরাদুন জেলার ৬৭০ হেক্টরের বেশি এলাকাজুড়ে মেলা চলছে।
অমিত শাহর কটাক্ষের পাল্টা জবাব, ড. মোমেনের সমালোচনায় ভারতীয় মিডিয়া
বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক সভাপতি ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার গরিব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না। সে কারণেই তারা ভারতে অনু-প্রবেশ করছে।
অমিত শাহর এমন মন্তব্যের মোক্ষম জবাব দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারতের ৫০ শতাংশের মানুষের ভালো কোনও বাথরুম নেই। আর আমাদের ৯০ শতাংশ লোকই ভালো বাথরুম ব্যবহার করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে তার (অমিত শাহর) জ্ঞান সীমিত। আমাদের দেশে এখন কেউ না খেয়ে ম’রে না। এখানে কোনও মঙ্গাও নেই। সীমিত জ্ঞানের কারণেই অমিত শাহ ওই কথা বলেছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ হিসেবে নিয়েছে ভারতের কিছু গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার দেশটির কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারতী গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকা নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্যকেও সামনে নিয়ে এসেছে তারা।
অমিত শাহর মন্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বুধবার বলেন, তার এই ধরনের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য, বিশেষত যখন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অনেক গভীর। এ জাতীয় মন্তব্য দুদেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে।