আস্থার নাম ছাত্রলীগ: শুধু বলুন- ‘হ্যালো ছাত্রলীগ অ্যাম্বুলেন্স লাগবে’

0

বান্দরবান প্রতিনিধি:

পাহাড়ে ভরসা হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের অ্যাম্বুলেন্স-সেবার হটলাইন ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’। গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মানবিক এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন গোটা বান্দরবানবাসী।

বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাউসার সোহাগ জানালেন, ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তারা। এই সেবা চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ হটলাইন মোবাইল নম্বরে সরাসরি কল এসেছে ৩ হাজার ৭০৫টি। প্রায় সবাইকে দেয়া হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স-সেবা।

‘হ্যালো ছাত্রলীগ’-এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স-সেবা গ্রহণ করা মো. রুবেল বলেন, আমার ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। টাকার অভাবে গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছিলাম না। ঠিক ওই সময়ে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ অ্যাম্বুলেন্স মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তারা দ্রুত এসে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাউসার সোহাগ বলেন, আজকেও একজন রোগীকে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ অ্যাম্বুলেন্স গাড়িটি চট্টগ্রামে নিয়ে গেছে। আগের দিনও নিয়ে গেছে। যে কোনো রোগে, দুর্যোগে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।

করোনার ঠেকাতে সারা দেশের মতো বান্দরবানেও কড়াকড়ি এক সপ্তাহ লকডাউন চলছে। আপনারা ঘরে থাকুন, জরুরি প্রয়োজনে আমাদের “হ্যালো ছাত্রলীগ” হটলাইন নম্বরে কল করুন। আমরা সার্বক্ষণিক আপনাদের আশার পূরণে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

শৈনুমে মারমা নামের একজন জানালেন, গত বছর ১২ জুন বান্দরবানে কড়াকড়ি লকডাউন ছিল। ওই সময় কানের তীব্র ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। উপায় না পেয়ে ফোন করেন ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ হটলাইনে। বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে।

শৈনুমে জানান, বান্দরবানে ছাত্রলীগ রাজনীতি ছাড়াও মানবতার কাজে নানা অবদান রেখে যাচ্ছে।

বান্দরবান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা মানবতার কাজে সার্বক্ষণিক মাঠে ছিল। করোনাকালে ছাত্রলীগ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিয়েছে। এর পাশাপাশি করোনাকালে আমাদের হ্যালো ছাত্রলীগ অ্যাম্বুলেন্স-সেবাটি যথেষ্ট কাজে এসেছে।

মান্যজন হিসেবে পরিচিত প্রবীণ মং নু খইং জানান, মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের পুত্র রবি বাহাদুর উসিংহাইয়ের নেতৃত্বে বান্দরবানে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ জনগণের পরম বন্ধু। জনগণের জন্য ছাত্রলীগ এখন মাঠে। ছাত্রলীগের এমন কাজ বান্দরবানবাসীর জন্য খুব উপকারে এসেছে বলে মনে করেন তিনি।

‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ সেবার বিষয়ে জেলা যুবলীগ সভাপতি কেলুমং বলেন, বান্দরবানে ছাত্রলীগ কর্মীরা যে কোনো দুর্যোগ, রোগ, বন্যাকালীন সময় এলে তারা মানবতার কাজে সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করে। এটি ছাত্রলীগের বড় অর্জন। ছাত্রলীগ এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে জনগণের বুকে স্থান পাবে।

‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ অ্যাম্বুলেন্স-সেবার উদ্বোধনে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

করোনাকালে ছাত্রলীগের ‘জয় বাংলা অক্সিজেন’ সেবার বিষয়টিও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

গত বছরের ২৫ জুন এই সেবা কার্যক্রম শুরু করেন ছাত্রলীগের তিন নেতা। তখন থেকে এভাবেই রাতদিন করোনায় রোগীদের অক্সিজেন-সেবা দিয়ে আসছেন তারা। বর্তমানে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহে এই সেবা চলছে।

তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, উপ-বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ।

তারা ‘অক্সিজেন ফেরিওয়ালা’ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!