সময় এখন ডেস্ক:
পাকিস্থানি বাহিনী ১৯৭১ সালে যা করেছে, হেফাজত ইসলাম সেই অনুকরণেই ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সেই তা’ণ্ডব চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, আইনানুগভাবে হেফাজতকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে, এ থেকে তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।
হেফাজত আমাদের জাতীয় সংগীত মানে না, জাতীয় সংগীত গায় না, জাতীয় পতাকা ওড়ায় না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। আমরা বহু রক্ত দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই এই অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
মন্ত্রী আরও বলেন, তারা আমাদের সরকারি অফিস-আদালত পুড়িয়ে ধ্বং’স করে দিয়েছে। এসি ল্যান্ড অফিসের সব দলিলপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর বাড়ি ধ্বং’স করে দিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের বিরু’দ্ধে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের এবং সাংস্কৃতিক চেতনায় আঘা’ত হেনেছে। এর আইনানুগ বিচার নিশ্চিত করা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘ’র্ষের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তা’ণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা। হাম’লা হয় নানা সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি থানাতেও। অ্যাকশনে নামতে বাধ্য হয় পুলিশ। এতে প্রাণ হারান ৪ ব্যক্তি।
দুই দিন পর হরতালের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হেফাজতের আক্র’মণ ছিল ব্যাপক। সরকারি-বেসরকারি ৩৮টি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুনও দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নও। বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও একাত্তরে শহিদদের নামফলকও।
ব্যাপক তা’ণ্ডব চালানো ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এবংপুলিশের ওপরও হাম’লা হয়।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে বেগানা নারী নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় মামুনুল হক আটক হওয়ার পর হেফাজত কর্মীরা ওই এলাকা ছাড়াও মুন্সিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে তা’ণ্ডব চালায়।
266