সময় এখন ডেস্ক:
বেশকদিন ধরে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অবশেষে রবিবার দুপুরে হেফাজতের এই নেতাকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের নির্ধারিত সূচিকে কেন্দ্র করে সংগঠিত সহিং’সতা ও রিসোর্টে বেগানা নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটককে কেন্দ্র করে নারয়ণগঞ্জে তা’ণ্ডবের ঘটনার পর রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরু’দ্ধে।
এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তা’ণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরু’দ্ধে একাধিক মামলা আছে।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে বেগানা নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে রাতেই ঢাকায় চলে আসেন মামুনুল হক।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় যান মামুনুল হক। সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
মাদ্রাসায় নজর রাখছিলেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কেননা এই মাদ্রাসার একটি কক্ষে বসেই ফেসবুকে লাইভ করছিলেন হেফাজতের এই নেতা।
তবে সর্বশেষ লাইভে এসে দ্বিতীয় বিয়ের দাবির সপক্ষে স্ত্রীর কাছে সত্য গোপন করার অবকাশ রয়েছে এমন বক্তব্য দিয়ে নিজ দলের আলেম-ওলামাদের কাছে সমালোচিত হন তিনি। পরে চাপের মুখে সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিটও করে দেন।
মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এমন সম্ভাবনা দেখছিলেন তিনি। এ কারণে পাশেই নিজের বাসা হলেও তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন না। তক্কে তক্কে থাকা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মামুনুলের অবস্থান নিশ্চিতের পর রবিবার তাকে ওই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া থেকেই গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।
দুপুর ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মামুনুলকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামুনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ।
মামুনুলের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালের একাধিক মামলাতেও মামুনুল হক এজাহারভুক্ত আসামি।
231