হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা ইসলামাবাদী আরও ১৪ দিন রিমান্ডে

0

সময় এখন ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হকের বিরু’দ্ধে পল্টন থানার পৃথক ২টি মামলায় জেরার জন্য ৭ দিন করে দুই দফায় মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছে আদালত।

৭ দিনের রিমান্ড শেষে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে রোববার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

পরে পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় আরও জেরা করতে তাকে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শহিনুর রহমান ২টি মামলায় তাকে আরও ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

১২ এপ্রিল আজিজুলের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিল ঢাকার সিএমএম আদালত।

১১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে র‍্যাবের সঙ্গে যৌথ অভিযানে আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের সমাবেশে না’শকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

পরে আদালত তার ৭ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। রোববার তার আগের রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

গ্রেপ্তার মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে দুপুর ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মামুনুলকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিং’সতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরু’দ্ধে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তা’ণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরু’দ্ধে একাধিক মামলা আছে।

মামুনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে বেগানা নারী সঙ্গীসহ আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে রাতেই ঢাকায় চলে আসেন তিনি।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় যান মামুনুল হক। সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

তার বিরু’দ্ধে রাজধানীর পল্টন ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালের একাধিক মামলাতেও মামুনুল হক এজাহারভুক্ত আসামি।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!