সময় এখন ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারিতে থাকার পর, প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ, বিপিএম।
রোববার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমের এ তথ্য জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, তার বিরু’দ্ধে পুলিশের ওপর, থানায় এবং ভূমি অফিসে পরিকল্পিতভাবে হাম’লা, ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি এসব মামলার তদন্ত করছিলাম। তদন্তে তার সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিসি হারুন বলেন, ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও না’শকতার মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরু’দ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তা আপনারা সবাই জানেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীর ঘটনার পর থেকেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানায় প্রাথমিকভাবে তাকে জেরা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মামুনুলক হক পুলিশের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ এর প্রাথমিক জেরায় নিজের ৩ বিয়ের কথা স্বীকার করলেও প্রথমটা ছাড়া বাকি বিয়েগুলোর স্বপক্ষে কোনো দলিল, তথ্য প্রমাণ এমনকি কোনো সাক্ষীও দেখাতে পারেননি। বিয়ের নামে প্র’তারণা করেছেন বলে গাজীপুরের লিপি নামের এক নারীর ভাই মামলা করেছেন, মামলার বাদী জানেনই না, তার বোনকে বিয়ে করেছেন মামুনুল হক।
এতে অবাক হন পুলিশের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বিয়ে তো কোনো গোপন কিছু নয় যে, কনের ভাইও বিষয়টি জানবেন না।
অর্থাৎ বিয়ে নয়, জেনা করেছেন আসলে তিনি বাকি দুই নারীর সাথে।
এছাড়াও ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মুখাবয়বকে ব্যাঙ্গ করার প্রসঙ্গটি সম্পর্কেও জানতে চান পুলিশের এই কর্মকর্তা মামুনুল হকের কাছে। এ বিষয়েও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এখানে বলে রাখা উচিৎ, নবীজীর মুখভঙ্গি বিকৃতি করার মাধ্যমে ধর্ম অবমাননা করেছেন মামুনুল হক, তাই তার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টেও মামলা হয়েছে।
ভিডিও: