বিশেষ প্রতিবেদন:
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের নারী কেলে’ঙ্কারি, অনেক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, জেনা, রিসোর্টে নিয়ে ভুয়া পরিচয় দেয়া ইত্যাদি সারা দেশের মানুষের এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণ মানুষ তার এইসব বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা করেছে।
এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন মামুনুল হক। দেখা গেছে, শুধুমাত্র রাজধানীতেই তার নামে ১৭টি মামলা রয়েছে। এখন একাধিক বিয়ের বিষয়ে আরো বিপদে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। তার আসল স্ত্রী আমেনা তাইয়্যেবা এবং নকল স্ত্রী জান্নাত আরা ওরফে ঝর্ণা মামুনুলের নামে মামলা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বলা যায়, নারীরাই তার গলায় কাঁ’টা হয়ে উঠেছে।
রয়েল রিসোর্টের সেই ঘটনা থেকে মামুনুলের অনৈতিক সম্পর্কগুলো সবার সামনে আসে। এরপর বেশ কিছু ফোনালাপ প্রকাশ, নকল স্ত্রী ঝর্নার বড় ছেলের অনলাইন বক্তব্যসহ নানা বিষয়ে তার সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরী হতে থাকে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও বিভিন্ন মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে নানা ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়।
ফলে সবকিছু মানুষের সামনে পরিস্কার হয়ে যায়। প্রথমে মামুনুল বলেছিলেন, ঝর্ণা তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং শরিয়াসম্মত উপায়ে তিনি তাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ঝর্ণার ডায়েরি এবং তার কথাবার্তা থেকে স্পষ্ট হয়, মামুনুল শুধুমাত্র অর্থ সহায়তার বিনিময়ে ঝর্ণাকে ভোগ করেছেন।
এরপর মামুনুলের আরো এক নকল স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া যায় গাজীপুরে। এখানেও কোনো কাবিন বা কাগজপত্র মেলেনি। ওই নারীর ভাই মামুনুলের নামে মামলা করেছেন তার বোনের সাথে প্র’তারণার জন্য।
এখন পর্যন্ত মামুনুলের ৩টি স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও মামুনুলের আরও একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে মামুনুলের নিয়মিত সম্পর্ক আছে, এসব তার ফোনালাপ প্রকাশের পর স্পষ্ট হয়ে যায়।
সাধারণ মানুষের মতে, একটি ধর্মীয় সংগঠনের এত বড় দায়িত্বশীল পদে থেকে জেনা করেছেন মামুনুল, যা ধর্ম সম্পর্কে সাধারণ মুসলমানদের কাছে একটি খারাপ বার্তা। হেফাজতের প্রতি মানুষের সহানুভূতির জায়গাটি মামুনুল এভাবে শেষ করে দিয়েছেন। এখন তাকে চেনে সবাই শুধুমাত্র এক ল’ম্পট হিসেবে। যার কোনো স্থান সাধারণ মানুষের কাছে নেই।
মামুনুলের মত লোকেরা ধর্মকে পুঁজি করে সাধারণ মানুষের সহানুভূতির জায়গা তৈরি করে আর তলে তলে যত ধরনের খারাপ কাজ রয়েছে তারা সব কিছুই করে। কোনো অ’বৈধ কাজ করতে গিয়ে ধরা খেলে, মাদ্রাসার নিরীহ শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পায়। যেমনটি ঘটেছিলো সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে। তাই মামুনুলের মতো মানুষের পক্ষ নেয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
মামুনুল হকের বিরু’দ্ধে এসব অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও আহমদ শফী তাকে সতর্ক করেছিলেন এবং তওবা পড়িয়েছিলেন। কিন্তু আহমদ শফীর মৃ’ত্যুর পর জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের আমির হলে মামুনুল বেপরোয়া হয়ে ওঠে। যার ফলে তিনি একের পর এক এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছেন।
এখন তো দুই কথিত স্ত্রী মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সামনে আরো কতজন এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে শামিল হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।