প্লাস্টিক খেয়ে ফেলবে, খোঁজ মিলেছে এমন ৫০ প্রজাতির মাশরুমের

0

বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:

১৯৫০ সাল থেকে এখন অবধি মানুষ ৯ বিলিয়ন টন প্লাস্টিক তৈরি করেছে। এর মাত্র ৯ শতাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ১৫ কোটির মতো প্লাস্টিক আছে সাগরের তলদেশে যা ২০৫০ সালের মধ্যে মাছের চেয়ে সংখ্যায় বেশি হবে।

এটি প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করবে। এরই জের ধরে বিজ্ঞানীরা এমন মাশরুমের হদিস পেয়েছেন, যা প্লাস্টিক খায়। গেল ২ বছরে এমন ৫০ প্রজাতির মাশরুমের সন্ধান মিলেছে।

২০১১ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল এমন একটি মাশরুম দেখতে পেয়েছেন, যা ভবিষ্যতে প্লাস্টিক আবর্জনা থেকে মুক্তি দিতে পারে। মাশরুমটির নাম পেস্টালোটিওপিস মাইক্রোস্পোরা। যা প্লাস্টিকের উপাদান পলিউরেথেন খায় এবং জৈব পদার্থে রূপান্তর করে।

বিজ্ঞানীদের মতে, বাদামি রঙের এই মাশরুম এমন পরিবেশেও বেড়ে উঠতে পারে যেখানে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক কম। কারণ, এই মাশরুম প্লাস্টিকে থাকা পলিউরেথেন গ্রহণ করে এবং সেটিকে জৈব পদার্থে রূপান্তর করে। আর জৈব পদার্থের মাধ্যমে এটি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায়।

এই মাশরুম প্লাস্টিককে মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে জৈব পদার্থে রূপান্তর করতে পারে। অন্যদিকে এই ধরনের মাশরুম সাধারণ মানুষও খেতে পারে।

এদিকে আশাবাদী হয়ে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক আবিষ্কার করেছেন যা নির্দিষ্ট ধরনের প্লাস্টিকের পরিমাণ কমাতে পারে।

গবেষক দল ২০১৭ সাল থেকে এমন মাশরুমের আরো ৫০টি প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন যা পরিবেশকে রক্ষা করতে সক্ষম। তারা বলেন, আমরা এই মাশুরমগুলো বড় পরিসরে আবাদ করছি, তবে প্লাস্টিক কমানোর জন্য যে বিপুল পরিসরে মাশরুমের আবাদ করতে হবে, গবেষণা কার্যক্রম চালাতে হবে, সে জন্য তহবিল প্রয়োজন।

এরই মধ্যে পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং ৩টি নতুন নিবন্ধ প্রকাশের পরিকল্পনা করেছেন তারা, যার ফলে অনুদানের পথটি পরিষ্কার করতে পারে।

পরিবেশবিদদের মতে, যদি এই মাশরুম প্লাস্টিক আবর্জনার ওপরে জন্মানো যায়, তবে ওই প্লাস্টিককে সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এই মাশরুমটিকে পরবর্তীতে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে আমাদের পৃথিবী পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!