হাদিসের দোহাই দিয়ে মামুনুল বিয়ে করেছিলেন তার সৎ মাকেও! (ভিডিও)

4

সময় এখন ডেস্ক:

মামুনুল হক তার বাবার শেষ স্ত্রীকেও বিয়ে করেছিল, তথ্যটি জানাচ্ছেন কমরেড ডা. এম এ সামাদ। তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ-এর (মার্কসিস্ট) জেনারেল সেক্রেটারি এবং দৈনিক ‘সিপিবিএম’ পত্রিকার সম্পাদক। তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়েই তিনি ফেসবুক লাইভে এসে এমন তথ্য জানালেন।

ডা. এম এ সামাদ তার ফেসবুক লাইভে বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, মামুনুল হকের সেই সৎ মা এবং পরবর্তীতে স্ত্রীর নাম ফারহানা। তিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। সেখান থেকে মামুনুল হকের গ্রেপ্তারের খবরে উতলা হয়ে বিভিন্ন ধরণের গুজব অপপ্রচার চালাচ্ছেন, সেই সাথে উসকানি দিচ্ছেন মামুনুল হকের অনুসারীদের রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরু’দ্ধে আন্দোলন এবং জ্বালাও পোড়াও শুরু করার জন্য।

ডা. এম এ সামাদ এর সাথে মামুনুল হকের পিতা স্বঘোষিত স্বাধীনতাবিরোধী শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা ছিল। ডা. সামাদ সেই পরিচয় এবং পারিবারিক সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, মামুনুল হকের পিতার স্ত্রীর সংখ্যা অনেক, যাদের অনেকেই ছিলেন তার বাড়ির গৃহ পরিচারিকা। তাদেরকে একে একে বিয়ে করেন আজিজুল হক। এসব বিয়ের কোনো রেজিষ্ট্রি বা কাবিন নাই। শুধুমাত্র মুখে কলেমা পড়ে বিয়ে এবং ‘ছেড়ে দিলাম’ বলে ডিভোর্স দেয়া হয়। এই স্ত্রীদের গর্ভে মোট সন্তানের সংখ্যা ১৪ জন।

মামুনুল হক যাকে বিয়ে করেছেন সেই ফারহানা তার পিতা আজিজুল হকের শেষ বয়সে করা বিয়ের অতি অল্প বয়সী এক স্ত্রী। বয়সের বিস্তর ব্যবধানের কারণে এ নিয়ে মাদ্রাসায় এবং ধর্মীয় অঙ্গনে বেশ রসালো আলাপ হতো। এ নিয়ে ১৯৯১ সালে এক আলোচনায় তিনি খোদ মহানবী (স.) এর ৬ বছর বয়সী হযরত আয়েশা (রা.) কে বিয়ের উদাহরণ দিয়ে নিজের বিয়ের বৈধতা দান করেন।

এমনকি আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের সাথে এক আলোচনায় আজিজুল হক দেশের প্রচলিত আইনকে মুরতাদদের আইন আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, বিয়ের সংখ্যা এবং বয়স নির্ধারণ করা এই মুরতাদদের আইন আমরা মানি না। বরং ১৩টি পর্যন্ত বিয়ের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

ডা. এম এ সামাদ জানান, মামুনুল হকের সেই সৎ মা এবং পরবর্তীতে স্ত্রী হওয়া নারী ফারহানা এখনও তার ফেসবুক প্রোফাইলে মামুনুল হকের এক্স স্ত্রী হিসেবে নিজের পরিচিতি বহন করেন।

এ প্রসঙ্গে তার ভিডিও বার্তায় আছে আরও চমকপ্রদ এবং বিস্তারিত তথ্য:

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

৪ Comments

  1. তালাক হওয়ার পরে নয়। তাকে তালাক দিতে নবি বাধ্য করেছিলেন। মোহাম্মদ যখন যায়েদের কাছে দেখা করতে যায় তখন যায়েদ বাড়িতে ছিলেন না। সে সময় যায়েদের বৌকে দেখে মোহাম্মদের বাসনা জাগ্রত হয়। পরে যখন যায়েদ বাড়িতে আসে তখন মোহাম্মদ তাকে তার বৌকে তালাক দিতে বলে। মোহাম্মদ যেহেতু তাকে তালাক দিতে বলেছেন, সেহেতু যায়ের কোনো প্রতুত্তর নাকরেই নিজের বৌকে তালাক দেয়। তার পর মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করে।

    এখন আপনি তো হুট করে না যেনেই বলে দিলেন তালাকের পর বিয়ে করছে। তালাকের কারনটা আগে দেখেন। এটা আমার বানানো কথা নয়। ভালো করে জানুন পরে কমেন্টে আসুন

Leave A Reply

error: Content is protected !!