সময় এখন ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরদিনই গ্রেপ্তার করা হলো হেফাজতে ইসলামের আরেক নেতা মাওলানা কোরবান আলী কাসেমীকে। তিনি ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি ও একইসাথে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব।
মঙ্গলবার বাসাবো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম।
এ নিয়ে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার অভিযানে পুলিশের হেফাজতে আছেন মোট ১১ জন। এদের বিরু’দ্ধে সাম্প্রতিক সহিং’সতায় সম্পৃক্ততার পাশাপাশি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে তা’ণ্ডবের অভিযোগও আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২৬ মার্চ ও ২ দিন পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেফাজত কর্মীদের তা’ণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয় ১১ এপ্রিল। প্রথমে ধরা পড়েন সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। আর রোববার ধরা পড়েন যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
একদিন নানা হুম’কি ধমকি দিয়ে এলেও গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে এখন হেফাজত নেতারা কথা বলছেন নরম সুরে। আর সোমবার রাতে সংগঠনের ১০ জন নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করেন। যাদের মধ্যে ছিলেন মামুনুল হকের বড় ভাই মাহফুজুল হকও।
কোনো পক্ষ থেকে এই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও সেখানে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধের অনুরোধ করেছেন তারা।
এর কিছুক্ষণ আগে হেফাজতের আমির জুনায়ের বাবুনগরী এক ভিডিও বার্তায় এসে তা’ণ্ডবের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। যদিও এতদিন তিনি এসব ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছিলেন।
‘মাননীয় সরকার’ সম্বোধন করে বাবুনগরী কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চেষ্টা করছেন না।
এই বৈঠকের পরদিন তথ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারের সঙ্গে কেউ দেখা করতে চাইলে, দেখা করতেই পারে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করেছেন। কিন্তু তাতে অপরাধীদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো ব্যত্যয় হবে না।
এর কিছুক্ষণ পরই মাওলানা কাসেমীর গ্রেপ্তারের খবর আসে।
156