সময় এখন ডেস্ক:
দুর্যোগ ও সংকটে ‘লিপ সার্ভিস’ না দিয়ে বিএনপিকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জনকল্যাণে রাজনীতি করতে হবে। জনমুখী ও উন্নয়নের রাজনীতিকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।
দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের সহযোগিতা চান বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি, বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু। এই অদৃশ্য শত্রুকে মোকাবেলা করতে হলে আমাদের সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সম্মিলিতভাবে সচেতনতার দুর্গ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় করোনা একদিন পরাজিত হবে।
এ দেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিএনপি ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে তারা অপপ্রচার আর অন্ধ সমালোচনাবিদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি নেতিবাচক ধারা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতায় পুষ্ট। দেশ ও সমাজের গৌরবের দিনগুলোকে তারা বিত’র্কিত করার অপচেষ্টা করেছে।
বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখতে পায়, অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এবং অর্জন আজকে সারা বিশ্বে সমাদৃত। অথচ বাংলাদেশে কেবল বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা হচ্ছে। আমাদের বিরোধীপক্ষ দেশের উন্নয়নকে দেখতে পায় না। জনগণের সমর্থন না পেয়ে ক্ষমতায় যেতে খোঁজেন অন্ধকারের চোরাগলি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, জাতির সোনালী অর্জনগুলোকে কালিমালিপ্ত করে তারা (বিএনপি) পরাজিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, যা এখন আর সম্ভব নয়, জনগণও তা আর হতে দেবে না।
লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষ এবং ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষদের সহায়তা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ কৃষক পরিবার পাবে ৫ হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।