অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতের তা’ণ্ডবে ধ্বং’স হয় হাজার কোটি টাকার সম্পদ। সাধারণ মানুষের দাবির মুখে তাই এই উগ্রবাদীদেরকে দমনে কঠোর হয় সরকার। মৌলবাদী সংগঠনটির কর্মী সমর্থকরা যখন দেশজুড়ে তা’ণ্ডব চালাচ্ছে, ঠিক সে সময় এক বেগানা নারীকে নিয়ে বিলাসবহুল রিসোর্টে আমোদ-ফূর্তিতে রত অবস্থায় ধরা পড়েন মামুনুল হক।
দেশজুড়ে ধ্বং’সযজ্ঞ, প্রকাশিত কয়েকটি ফোনালাপ এবং বেগানা নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ধরা পড়া মামুনুল হকের ঘটনা- সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে হেফাজতে ইসলামের আসল চেহারা উন্মোচিত করে দেয়। তীব্র দাবি ওঠে এই তথাকথিত আলেম নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তারের। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দীর্ঘদিন হিমাগারে থাকা ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের সেই তা’ণ্ডবের ঘটনার পর দায়েরকৃত মামলার নথিপত্র আবারও উঠে আসে।
না’শকতা মামলায় একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন হেফাজতে ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী এবং ধ্বং’সযজ্ঞ চালানোর পেছনে ক্রমাগত ইন্ধন এবং উসকানি দিয়ে গেছেন ধর্মের নামে। রিমান্ডে মিলতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব ঘটনার নেপথ্য ষড়যন্ত্রের হদিস।
নেতৃবৃন্দ গ্রেপ্তার হওয়ায় মূলত থেমে যায় হেফাজতে ইসলামের যাবতীয় গর্জন। কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা অনলাইনে অপপ্রচার আর গুজব রটানোতে নিজেদের সীমাবদ্ধ করে ফেলে রাজপথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় থাকার কারণে।
তবে এর মধ্যে দানা বাঁধছে মামুনুল হকের সমর্থকদের প্রতিবাদ। কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোদাচ্ছের ফালু নামের হেফাজতে ইসলামের এক উগ্র সমর্থকের একটি লাইভ ডিডিও এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কেন ঘরে বসে আছে, কেন তাদের নেতাকে জেল থেকে বের করে আনার জন্য রাস্তায় নামছে না, এ জন্য অ-শালীন ভাষায় তাদেরকে ড্রাইওয়াশ করেন তিনি।
ফালুর বক্তব্য এবং ফেসবুক আইডিতে ঘুরে দেখা যায়, তিনি ঘোষণা দিয়েছেন মামুনুল হককে জেল থেকে বের করে আনতে গিয়ে যদি ম’রতেও হয় তাকে, তিনি প্রস্তুত আছেন। মামুনুল হক গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন বলেও জানা যায়।
তার আইডিতে দেখা যায়, তারই নেতৃত্বে সংসদ ভবন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মৌলবাদী মিছিলও হয়েছে এলাকায়।
তার এসব কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সাধারণ মানুষ দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। নইলে আবারও এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিবেশিরা।
ভিডিও: