সময় এখন ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য কুরুচিপূর্ণ দাবি করে তাকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। অন্যথায় ইসলামপ্রিয় জনতা ড. কামালকে দেশ থেকে বিতাড়িত করবে বলেও হুমকি দেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে হাসনাত আমিনী বলেন, ড. কামাল হোসেন এক বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফীকে নারী বিদ্বেষী, স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী, সংবিধানবিরোধী, ফতোয়াবাজ, ধর্মের অপব্যাখাকারী আখ্যা দিয়েছেন।
হেফাজত আমীরের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থার কথা বলেছেন। আমরা মনে করি, আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবহির্ভূত ও আক্রমণাত্মক। তার বক্তব্যে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মর্মাহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে হেফাজত ইসলামের নেতা অভিযোগ করেন, ঐক্যফ্রন্টের নামে বিএনপিকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে এখন আল্লামা শফীর বক্তব্যকে ইস্যু বানিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন ড. কামাল। কাজেই হেফাজত আমীরের বিরুদ্ধে নয়, ব্যবস্থা নিতে হলে অরাজকতা সৃষ্টিকারী ড. কামালের বিরুদ্ধেই নিতে হবে।
বিবৃতিতে হাসনাত আমিনী আরো বলেন, ড. কামাল হোসেনের ইতিহাস দেশের জনগণ ভালো করেই জানে। স্বাধীনতার নয় মাস তিনি পাকিস্থানে কাটিয়েছেন। মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন একজন বিদেশি ইহুদির কাছে।
জীবনভর কাদিয়ানিদের পক্ষে ওকালতি করেছেন। এখন তিনি দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমের চরিত্র হননে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। হাসনাত আমিনী বলেন, বক্তব্য প্রত্যাহার করে অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে ইসলামপ্রিয় জনতা ড. কামালকে দেশ থেকে বিতাড়িত করবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুমআর নামাজের পর মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮তম মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনে বক্তব্য দেন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে পড়াবেন না। বেশি হলে ক্লাস ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। আর বেশি যদি পড়ান পত্রপত্রিকায় দেখতেছেন আপনারা। ওই মাইয়া (মেয়ে) ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ ও বিএ পর্যন্ত পড়ালে কিছু দিন পর আপনার মেয়ে থাকবে না। তাই আপনারা আমার সঙ্গে ওয়াদা করেন। বেশি পড়ালে আপনার মেয়েকে টানাটানি করে অন্য পুরুষ নিয়ে যাবে। আমার এ ওয়াজটা মনে রাখবেন।’
1