সময় এখন ডেস্ক:
মামুনুল হকসহ হেফাজতের ইসলামের শীর্ষ নেতাদের পরিচালিত কওমি মাদ্রাসায় ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত দল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে নেমে অনিয়মের প্রমান পেয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, হেফাজতে ইসলামে খেলাফতে মজলিসের বেশ কিছু নেতা রয়েছেন। এই দুই দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন খেলাফতে মজলিসের আমির আল্লামা আজিজুল হক।
তিনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার দায়িত্ব নেন। তবে আদালত যখন মাদ্রাসাটির জন্য একটি স্বতন্ত্র বোর্ড করতে বলেন এবং এটি নিশ্চিত করতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেন, তখন আজিজুল হক মাদ্রাসাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন তার ছেলে মামুনুল হককে।
সূত্র জানায়, মামুনুলসহ হেফাজতের নেতারা এভাবে যাত্রাবাড়ী, বারিধারা, লালবাগের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। এসব মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে। এসব মাদ্রাসায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে যেসব অনুদান এসেছে, সেগুলোর বিস্তারিত তথ্যাদিও নেই।
পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলো অ’বৈধভাবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ নিয়ে বছরের পর বছর বিল পরিশোধ না করেই পরিচালনা করা হচ্ছে। শক্ত প্রমাণাদি পেলে এসব বিষয়েও মামলা করবে পুলিশ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এ সফরের বিরোধিতায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে হেফাজত। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ থেকে সহিং’সতাও হয়। পরে এর জেরে হরতাল ডাকে হেফাজত। এসব সহিং’সতায় বেশ কিছু প্রাণ ঝরে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক বেগানা নারীর সঙ্গে অবস্থানকালে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হন মামুনুল হক। ওইদিন তিনি পুলিশের জেরায় জানান, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। যদিও পরে তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিত’র্কের সৃষ্টি হয়।
আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই হেফাজত নেতারা ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুলকে নিয়ে যান। পুলিশের ওপর হাম’লা ও রিসোর্টে ভাঙচুরের অভিযোগে ওই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়, যেখানে মামুনুলকে আসামি করা হয়।
121