সময় এখন ডেস্ক:
২০১৩ সালে সরকার পতনে অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হেফাজতের চক্রান্ত হয়। হেফাজতকে কাজে লাগিয়ে সরকার পতনের একটি অপচেষ্টা চালিয়েছিল। হেফাজত নিজেদের অরাজনৈতিক দল দাবি করলেও তাদের অনেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম তার কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের গ্রেপ্তার ও জেরা সম্পর্কে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান।
মো. মাহবুব আলম বলেন, শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে সরকার পতনের অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হেফাজতের চক্রান্ত হয়েছিল। এ বছর আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে যে না’শকতা হলো, সেখানে একই ধরনের আরেকটি চক্রান্ত হয়েছে।
হেফাজত নেতাদের উদ্দেশ্য কী এমন প্রশ্নে মাহবুব আলম বলেন, তারা আসলে চান সরকার পতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে পাকিস্থান বা আফগানিস্তান মডেল বানানোর। তাছাড়া হেফাজতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ভাগ আছে বলেও জানান মাহবুব।
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, লন্ডন থেকে কিছু ওলামা মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা তৈরি করে বলছেন, হেফাজতের নেতাদের এখানে নাকি হিন্দু লোকজন জেরা করছেন। কোরআন নাকি ফেলে দেওয়া হয়েছে টয়লেটে। মামুনুল হককে নাকি প্র’হার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আয়োজকদের হেফাজত নেতাদের বিভিন্ন ওয়াজে নিতে বাধ্য করা হয়। যার মাধ্যমে তারা উগ্রবাদী বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে পারছে। এ ছাড়া মাদরাসার গরিব ছাত্রদের ব্যবহার করে অনুদান-সহায়তা আদায়ের নামে হেফাজত নেতারা বিত্তবান হয়েছেন।
তিনি বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পরবর্তী বিয়ের চুক্তিগুলো হচ্ছে স্ত্রী থাকবে কিন্তু কোনো মর্যাদা পাবে না। স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে পারবে কিন্তু সম্পর্কের কোনো অধিকার পাবে না। একই সঙ্গে কোনো দাবি-দাওয়া বা সন্তান ধারণ করতেও পারবে না। এ ধরনের চুক্তি প্রচলিত আইনের পরিপন্থী বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি না’শকতার দায়ে ১২টি এবং ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের ঘটনায় হওয়া ৫৩টিসহ মোট ৬৫টি মামলার তদন্ত করছে ডিবি।
222