আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন দুই কূটনীতিক। কিন্তু দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা তো দূরের কথা, তাদের কীর্তিতে মুখ দেখানোর অবস্থা নেই।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানকার একটি স্টোর থেকে চকলেট আর হ্যাট চুরি করে ধরা খেয়েছেন দুই পাকি কূটনীতিক। সিউলে পাকিস্থান দূতাবাসের দুই কূটনীতিককে চিহ্নিত করেছে দেশটির পুলিশ।
সিউলের ইয়ংশান ডিস্ট্রিক্টের স্টোর থেকে যেসব মালামাল তারা চুরি করেন তার মূল্য মাত্র ১১.৭০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি টাকা।
পুলিশ জানায়, দেশটির রাজধানী সিউলের একটি স্টোরে পৃথক দিনে দুটি চুরির ঘটনা ঘটে। এই চুরির ঘটনায় জড়িত হিসেবে দুই ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তারা রাজধানী সিউলে অবস্থিত পাকিস্থান দূতাবাসের কূটনীতিক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, পাকিস্থানি দুই কূটনীতিকের মধ্যে একজন ১০ ডলারের একটি হ্যাট এবং অন্যদিন অপর এক পাকিস্থানি কূটনীতিক চুরি করেছেন ১.৭০ ডলারের একটি চকলেট।
সিউলের ইংশান ডিস্ট্রিক্টের ইতায়েওন এলাকার ওই স্টোরটিতে প্রথম চুরির ঘটনাটি ঘটে গত ১০ জানুয়ারি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চুরির ঘটনাটি ঘটে।
হ্যাট চুরি যাওয়ার পর স্টোরের এক কর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন চোর শনাক্ত করে।
তাতে দেখা যায়, দুটি চুরির ঘটনার সঙ্গে সিউলে নিযুক্ত পাকিস্থানের দুইজন কূটনীতিক জড়িত। তবে তাদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে মামলাটি নিষ্পত্তি করে পুলিশ। কারণ ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনীতিকরা দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন।
মুরগি ডিম দেয় না, থানায় অভিযোগ
মুরগি ডিম দিচ্ছে না বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি! এই অভিযোগের পরে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলেও হাজির হয় পুলিশ।
আজব এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে জেলার লোনি কালভোর এলাকায়। এই এলাকার মাঠোবাচি আলন্দির কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্মে গত সপ্তাহ থেকে মুরগি ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলে লাখ লাখ রুপি লসের মুখে পড়েছে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা।
ঘটনার তদন্তে হাজির হয়ে এই অভিযোগ দেখে হতবাক হয়ে গেছে পুলিশও।
এক পোল্ট্রি মালিক পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান যে, গত ১১ এপ্রিল একটি সংস্থা থেকে মুরগির খাবার কিনেছিলেন তিনি। এই খাবার মুরগিদের দেয়ার পর মুরগি ডিম দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে তার অনুমান।
কিন্তু মুরগি কেন ডিম দিচ্ছে না? নাকি ডিম চুরি হয়ে যাচ্ছে, এই বিষয়ে সন্দেহও দেখা যায়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত টিমও গঠন করা হয়।