বিশেষ প্রতিবেদন:
দেশে-বিদেশে একটি মহল গত কয়েক বছর ধরেই সরকারবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে রাজনৈতিকভাবে রাজপথে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে অনলাইনে গুজব-অপপ্রচারের কৌশল গ্রহণ করেছে দেশবিরোধী এই অপশক্তি। গোষ্ঠিটি বিভিন্ন সময় সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে শত শত কোটি টাকার বিনিময়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমেও গুজব প্রচার করেছে।
জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের পেইড কয়েকজন এজেন্ট এই গুজব সেলের সদস্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন। বিএনপির গুজব সেলের পেইড এজেন্টদের মধ্যে দেশের তথ্য পাচারকারী তথাকথিত সাংবাদিক তাসনিম খলিল, জালিয়াতির মামলা খেয়ে পলাতক কনক সরওয়ার, রাজাকারপুত্র সাংবাদিক ইলিয়াস, কর্নেল (অব.) শহীদ এর নাম এখানে উল্লেখযোগ্য।
এই চক্রের সাথে নতুন করে কানাডা থেকে নতুন যুক্ত হয়েছেন আরেক প্র’তারক বহিষ্কৃত ক্যাপ্টেন শহিদ ইসলাম। যিনি বাংলাদেশ থেকে সাধারণ জনগণের বিপুল অংকের টাকা লোপাট করে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফায়ারা’র্মস ডিলিং ও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে তার বিরু’দ্ধে। তার সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
সূত্র জানায়, শহিদ চাকরিরত অবস্থায় ক্ষমতার অপ’ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত। দুর্নীতির দায়ে চাকুরি যায় তার। দেশে থাকাকালীন ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অ’বৈধ সম্পদ অর্জন এবং নারী কেলে’ঙ্কারির দায়ে তার সাজা হয় তার।
এরপর বিএনপি-জামায়াতের সহায়তার দেশ ত্যাগ করে কানাডায় যান। সেখানে গিয়েও চরিত্রের পরিবর্তন ঘটেনি তার। কানাডার বাংলাদেশ কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, দিনের বেলা বেশিরভাগ সময়ই ড্রাংক অবস্থায় পড়ে থাকেন তিনি। এছাড়াও অল্পবয়সী কিশোরী তরুণীদের প্রতি রয়েছে তার আকর্ষণ। প্রায়ই কানাডার রেড লাইট জোনে তাকে দেখা যায়।
জানা গেছে, বিগত কিছুদিন ধরেই হলুদ সাংবাদিক কনক সরওয়ারের ইউটিউবের কয়েকটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসে সরকারের বিরু’দ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন শহিদ। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকার প্রধান, সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্গান সম্পর্কে গুজব রটিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তারেক রহমানের কাছ থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে সরকারের বিরু’দ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মিশনে নেমেছেন শহিদ।
কানাডা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদ বলেন, ক্যাপ্টেন শহিদের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে তারেক রহমানের মাধ্যমে। ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, শহিদ সাহেব আমাদের পক্ষে অনলাইনে প্রচার চালাবেন। আর এজন্য কানাডা বিএনপির নেতাদের সহযোগিতা চান ভাইয়া। সে অনুযায়ী আমরা তাকে সাহায্য করছি।
আজাদ বলেন, গত কিছুদিন যাবত উনার (শহিদ) বিরু’দ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জার। কানাডা পশ্চিমা দেশ হলেও আমরা তো বাংলাদেশ থেকে এসেছি, ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সুতরাং ওইসব কাজ কারবার আমাদের সাথে যায় না। উনার এসব অভ্যাসের কারণে এখানকার বাঙালি কমিউনিটিতে বিএনপির দুর্নাম হচ্ছে। একাধিকবার সতর্ক করা হলেও উনার চরিত্রে পরিবর্তন হয়নি।
শহিদের এক প্রতিবেশী বলেন, আমি উনার কথা শুনে ভদ্রলোক ভেবেছিলাম। যেহেতু দেশি ভাই, প্রায়ই কথা বলতাম। কিন্তু কয়েকদিন পর দেখি উনি দিনের বেশিরভাগ সময়ই ড্রাংক থাকেন। কিন্তু একদিন ড্রাইভ করে যাওয়ার সময় ওনাকে রেড লাইট এরিয়ায় দেখে হতবাক হয়ে যাই। ভাবতেই পারিনি তার মত এমন বয়স্ক একজনকে এভাবে দেখতে পাব!
তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন- ভাই বিদেশে এসে যদি একটু আমোদ ফুর্তি না করি, কীভাবে হবে? কবে কবরে চলে যাব ঠিক নেই, একটু আনন্দ করে নেই। এ কথা শোনার পর তার সাথে কথা বলার রুচি হারিয়ে ফেলি, জানান ওই প্রতিবেশী।
জানা গেছে, শহিদের জুয়ার প্রতিও আকর্ষণ রয়েছে। তার এমন বিলাসী জীবনের পেছনে অর্থ সরবরাহ করা হয় লন্ডন থেকে। কানাডা বিএনপির দুজন নেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, ভাইয়াকে জানানো হয়েছে এসব। কিন্তু তিনি বলেছেন আমাদের মিডিয়া সেলে শহিদ সাহেব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, তাই এসব ছোটখাটো বিষয়ে তোমরা নজর দিও না।
বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা শহিদের ঢাকার বাসায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু উগ্রবাদী বই, জঙ্গিদের সরবরাহ করার জন্য বিপুল সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা বলেন, দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে না পেরে শহিদের মত লোকদের ভাড়া করেছে বিএনপি-জামায়াত। যারা টাকার বিনিময়ে সরকারের বিরু’দ্ধে গুজব রটায়।
সরকারের উচিৎ, বিদেশ থেকে যারা যারা গুজব প্রচার করছে তাদের প্রকৃত চেহারা দেশের জনগণের সামনে উন্মোচন করা। প্রয়োজনে দেশবিরোধী এই চক্রের সদস্যদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করানো। নিউজব্যাংক।