বিশেষ প্রতিবেদন:
জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকা হেফাজত ইসলামের শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক- মুফতি হারুন ইজহার আবার আলোচনায় এসেছেন। তিনি জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশ হিজবুত এর প্রধান সমন্বয়ক হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
কদিন আগেই হারুন ইজহার এর একটি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন সরকার ও দেশবিরোধী হিসেবে খ্যাত ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম। আর এই পোস্টের পর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
হারুনের বিরু’দ্ধে ব্যানড জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এবং জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার জন্য দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন তিনি। তার বাবা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী ব্যানড জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের অন্যতম সংগঠক হিসেবে পরিচিত।
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালখানে হারুন ইজহারের বাবা মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় হ্যান্ড গ্রেনেড বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা যায়। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হন হেফাজত এই নেতা। এছাড়া ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর মার্কিন দূতাবাসে হাম’লা পরিকল্পনার অভিযোগেও গ্রেপ্তার হন হারুন ইজহার।
সূত্র মতে, হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক আহমদ শফীর মৃ’ত্যুতেও জড়িত ছিলেন এই হারুন ইজহার।
সূত্রটি জানায়, আহমদ শফীর মৃ’ত্যুর পর দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রন নিতে চেষ্টা করে হারুন ইজহার। কিন্তু শফীর ছেলে আনাস মাদানীর কারনে সেটা সম্ভব হয়নি। শফীর পরিবারের দাবি তার মৃ’ত্যুতে সরাসরি হাত ছিলো হেফাজত এই নেতার।
হেফাজতে ইসলামের একটি বিশেষ সূত্র জানায়, সংগঠনেরর কেন্দ্রীয় কমিটি করার সময় লালখান বাজার মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ইজহার হেফাজতের আমির হওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছিলেন এবং তার ছেলেদ্বয়কে (মুফতি হারুন ইজহার ও মুসা ইজাহার)-কে যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাখার জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু আহমদ শফীর মৃ’ত্যুতে তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকার কারনে বড় কোন পদে রাখা হয়নি কাউকে।
এছাড়াও গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা নিয়ে দেশে তা’ণ্ডব চালায় হেফাজত ইসলাম। হাটহাজারী মাদ্রাসায় এক জনসভায় সরকারের বিরু’দ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য ও ফেসবুক পোস্ট করতে দেখা যায় হেফাজতের এই নেতাকে। ঢাকাটিভি।