সংলাপের ৫টি এজেন্ডা প্রস্তুত, আদৌ বাস্তবায়ন হবে তো?

0

বিশেষ সংবাদদাতা:

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে পরাজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের আহ্বান নিয়ে অনেকটা জল ঘোলা হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির বারবার মত পরিবর্তন সংলাপের আশা জাগিয়েও পিছিয়েছে। তবে এর মাঝে কর্মী সমর্থক, মিডিয়ার তারকাসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎও অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেখা গেছে বলে গণমাধ্যম কর্মীরা নিশ্চিত করেন।

তবে একে শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, ‘সংলাপ’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। আর এই সংলাপ নিয়ে এজেন্ডা তৈরি এবং আমন্ত্রিতদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানা গেছে। সূত্রগুলো বলছে, সংলাপের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার জনসভার পরই প্রধানমন্ত্রী সংলাপের তারিখ চূড়ান্ত করবেন। সংলাপে ৫টি এজেন্ডা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো-

১. দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন সরকারের কীভাবে কাজ করা উচিত, কোন কোন বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

২. সংসদের বাইরের দলগুলো দেশের উন্নয়নে কীভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়েও তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাইবেন।

৩. আগামী বছর ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এই জন্মশতবার্ষিকী প্রধানমন্ত্রী সবার সাথে উদযাপন করতে চান। এ ব্যাপারেও তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন।

৪. ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী। স্বাধীনতার ৫০ বছর প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে করার ব্যাপারেও কথা বলতে চান।

৫. সুস্থ একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী।

তবে একাধিক সূত্র বলছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বা পুনঃ নির্বাচনের দাবী নিয়ে কোন আলোচনা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ‘নির্বাচন হয়ে গেছে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সারা বিশ্ব প্রশংসা করেছে। এখন নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হবে? এ নিয়ে আর আলোচনার সুযোগ নেই।

দলের প্রভাবশালী একজন নেতা বললেন, ‘শুধু এবার নয়, প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মেলামেশা বাড়াতে চান। দেশকে আরো এগিয়ে নেবার ব্যাপারে সবার পরামর্শ চান। আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের প্রশ্নে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, সে ব্যাপারে একটি সমঝোতার রাজনীতির ধারা সূচনা করতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইতিমধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি সংলাপ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, ‘তাদের সংলাপের সঙ্গে এই সংলাপের কোন সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী হয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে বসবেন অথবা প্রথম অধিবেশনের পর সংলাপ শুরু করবেন।’ তবে খুব বেশি দেরী করা হবে না, তাহলে সংলাপের তাৎপর্য নষ্ট হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন !
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!