নোয়াখালী সংবাদদাতা:
এবার নোয়াখালীর কবিরহাটের নবগ্রামে ২৯ বছরের এক গৃহবধু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাকির হোসেন নামে একজনকে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে আটক জাকির হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্যরাতে। পুলিশ ভিক্টিমকে আজ দুপুরে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিলো।
কবির হাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনে ধর্ষণের শিকার নারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জাকির হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। গৃহবধুর স্বামী একজন রাজমিস্ত্রী। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। আটক ব্যক্তি একই এলাকার দোকানদার। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
কালীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিয়ের কথা বলে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার এসআই সম্বিত রায়।
কালীগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম নবী মোল্ল্যার ছেলে জুয়েল রানা (৩০) ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার রামচন্দ্রপুর নতুন বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও বায়সা গ্রামের ইকরাজ আলীর মেয়ে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ বছর ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ধর্ষক জুয়েল রানা ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এর পর থেকে জুয়েল তাকে বিয়ের কথা বলে ঘুরাতে থাকে।
গত ১২ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে জুয়েল বিয়ের কথা বলে ওই ছাত্রীকে রামচন্দ্রপুর গ্রামের খেজুর বাগানের সেচ পাম্পের কাছে আসতে বলে। সেখানে তাদের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে জুয়েল তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক জুয়েল পলাতক রয়েছে বলে জানান এসআই সম্বিত রায়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে জুয়েল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।