স্পোর্টস ডেস্ক:
পুরুষাঙ্গের আকৃতি দেখে তবেই দলের ফুটবলার বাছাই করেন মহিলা কোচ! লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন আসতেই সাংবাদিকদের ওপর একহাত নিলেন জার্মানির এক প্রখ্যাত মহিলা ফুটবল কোচ। জার্মানির পঞ্চম ডিভিশন ফুটবল লিগে প্রথম মহিলা কোচ হিসেবে নিয়োজিত হন ইমকে উবেনহোর্স্ট। দলের নাম বিভি ক্লোপেনবার্গ। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক প্রশ্ন ধেয়ে আসতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিক এভাবেই সামাল দিলেন ইমকে।
জার্মানির ফুটবল ক্লাব ক্লোপেনবার্গের কোচ ইমকে। দলে ১৫ জন পুরুষ ফুটবলার। একা মহিলা হয়ে কীভাবে সামলান? সাংবাদিকদের এমন অপেশাদার প্রশ্নে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি ইমকে, তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে উত্তর দিলেন- আমি পেশাদার কোচ। পুরুষাঙ্গের মাপ দেখেই আমি দলের ফুটবলার বাছাই করি।
এমন অপ্রত্যাশিত জবাবে রীতিমত ভড়কে যান প্রশ্নকারী সাংবাদিক। পরে বুঝতে পারেন, কোচ রাগ করেই তীর্যক জবাবটা দিয়েছেন।
এর আগেও মহিলা কোচকে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে। সুইডেনের এক ফুটবল দলের কোচ ছিলেন পিয়া সুন্ধাগে। তাকেও এই ধরনের প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিল। একজন নারী হয়ে কীভাবে ছেলেদের একটা গোটা দল চালান! এরকম প্রশ্ন শুনেই ইমকে জানালেন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল দীর্ঘদিন ধরে দৃঢ়তার সাথে জার্মানির মত একটা দেশ চালাচ্ছেন। তাহলে তিনি একজন নারী হয়ে মাত্র অল্প ক’জন খেলোয়াড়ের একটি দল সামলাতে পারবেন না কেন!
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলের মহিলা কোচ ছিলেন ইমকে। কোচ হিসেবে দু’বার অলিম্পিকে সোনাও জিতেছে তার দল। তার মতো কোচের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের করা এই ধরনের লিঙ্গ বৈষম্যমূলক প্রশ্ন শুনে চটেছে বিভি ক্লোপেনবার্গ কর্তৃপক্ষও।
দলটির বোর্ডের সদস্য হার্বার্ট শোডের বলেন, ‘লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা খুব সহজ। কিন্তু আমরা সব সময় গুণগত মান দিয়েই বিচার করি।’ ইমকের বয়স মাত্র ৩০। এর আগে মেয়েদের দল পরিচালনা করতেন। ক্লাবের অনুরোধে ছেলেদের দল পরিচালনা করছেন।