আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পানিই হচ্ছে মাছের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। সেখানে ছোটাছুটি করবে, সাঁতরে বেড়াবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ মাছের আচরণে বেশ পরিবর্তন ধরা পড়েছে। মাছগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি অস্থির হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পেছনে মূল কারন হিসেবে তারা দায়ী করছেন মাদককে।
বর্তমান বিশ্বের বড় একটি সমস্য মাদক। মাদকে আসক্ত হয়ে বড় ঝুঁকির মুখে মানুষ। এই সমস্যার কথা এখন সবার জানা। কিন্তু মাছের মাদকাসক্তি- বিষয়টি কিন্তু ভেবে দেখার মতোই। এমন ঘটনাই ঘটেছে লন্ডনের টেমস নদীতে। আর মাছের মাদকাসক্তির পেছনেও হাত রয়েছে মানুষের।
ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো ছাড়াও পরিবেশ বিষয়ক বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, লন্ডনের হাউস অব পার্লামেন্টের কাছে টেমস নদীতে মিলেছে অত্যাধিক পরিমাণ কোকেন। এই মাদক নদীটির ঈল মাছসহ অন্য প্রাণীদের নেশাগ্রস্থ করে তুলছে।
লন্ডনে গাঁজার পরই সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করা হয় কোকেন। এই কোকেন মানুষের প্রস্রাবের সঙ্গে গিয়ে মিশছে টেমসের পানিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পানিতে মাদকের এই পরিমাণটা অত্যাধিক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈল মাছ প্রতিবছর এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে টেমসে আসে। এ সময় তাদের নানা বিপদ ও ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। সেগুলো নদীর মোহনার কাছাকাছি থাকে। আর সেখানেই কোকেনের পরিমাণটা খুব বেশি। এ কারণে মাছগুলোর আচরণে বেশ পরিবর্তন এসেছে। সেগুলো আগের তুলনায় বেশি অস্থির হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাদকের প্রভাবে তারা ঠিক ‘মাছসুলভ’ আচরণও করছে না বলছেন তারা।
খবরে বলা হয়, লন্ডন থেকে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ টেমসের পানিতে ফেলা হয়। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা জানান, বর্জ্য ফেলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানিতে ক্যাফেইন, কোকেন ও বেনজোলেকজোনাইনের পরিমাণ খুব বেশি দেখা গেছে।
ব্রিটেনে করা এক পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরে দেশটিতে ৮ লাখ ৭৫ হাজার জন কোকেন আসক্ত ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা মানুষের পাশাপাশি জীববৈচিত্রকেও ক্ষতিগ্রস্থ করছে।