সময় এখন ডেস্ক:
শিশু যৌন হয়রানি একটি বড় সমস্যা আমাদের দেশের জন্য। পরিবারের বয়স্ক সদস্য, শিক্ষক, হুজুর এমনকি অপরিচিতদের দ্বারাও বহুভাবে শিশুরা শারীরিকভাবে হালকা বা গুরুতরভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। অনেক সময় শিশুদের যৌনতা সম্বন্ধে ধারণা তৈরীর আগেই বয়স্ক কারো দ্বারা যৌন হয়রানির স্বীকার হলে তাকে বলা হয় পেডোফিলিয়া।
এমনই এক পেডোফিলিক বিকৃত রূচির লম্পটকে হাতেনাতে আটক করেছে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার নারীরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ধৃত লম্পট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। এমন সময় পাশ দিয়ে একটি সাত বা আট বছর বয়সী একটি শিশু কোথাও আরবি পড়তে যাচ্ছিল। তার পরনে ছিল শালীন পোশাক, মাথায় ছিল হিজাব। শিশুটিকে দেখে দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি শোভিত অতিশয় সজ্জন দেখতে সেই লম্পট একপাশে ডেকে নেয়। পার্শ্ববর্তী গলিতে নিয়ে সেখানে তার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে স্পর্শ করা শুরু করে।
আর তখনই ওপরে একটি বিল্ডিংয়ের বারান্দা থেকে দৃশ্যটি দেখে এক নারী চিৎকার করেন। লোক জড়ো হওয়ার আগেই দৌড়ে পালাতে শুরু করে সেই লম্পট। এলাকার নারী-পুরুষদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাকে গ্রিণরোড থেকে ধরে আনে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে পাওয়া গেছে ঘটনাটি। সমাজসেবা করেন সৈয়দা রতনা নামের একজন নারী তার ফেসবুকে পোষ্টটি দেন। তিনি লিখেছেন-
“এই লোক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। ৭/৮ বছরের একটি মেয়েকে একা দেখে মেয়েটিকে ডেকে কথা বলে এবং গলির ভিতর ঢুকে। ঢুকে মেয়েটির গায়ে হাত দেয় এবং বুকে চাপ দেয়। তিনতলা তেকে একজন দেখে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করে। তখন এই লোক দৌড় দেয়। এবং দৌড়াতে দৌড়াতে গ্রীণ রোড থেকে ধরে আনে। এই লোক আমাদের কলাবাগানের কেউ নয়। বহিরাগত।
বিঃদ্রঃ ছোট্ট মেয়েটি আরবি পড়তে এসেছিলো এবং অতটুকুন মেয়েটি হিজাব পড়া ছিলো। পোশাকের দোষ কি এই বাচ্চাটিকেও ঘাড়ে নিতে হবে?”
সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী এই লম্পটকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।