বিশেষ সংবাদদাতা:
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী আওয়ামী লীগের চমক দেখানো নতুন মন্ত্রিসভার উল্লেখযোগ্য দিক ছিল দলের হেভিওয়েট নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত না করা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, প্রবীন এই নেতাদের দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত করে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যেই বিভিন্ন কাজে তাদেরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে যে, আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের নির্বাচন তদারকি করার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি এবং ‘৬৯ এর তুখোড় ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদকে। যদিও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের এই নির্বাচন তদারকিতে উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের থিংকট্যাংক মনে করছে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাদেরের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাছাড়া তিনি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য সাধারণ সম্পাদককে ডাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে সভাপতি আগ্রহী নন।
দলের নীতি নির্ধারক প্যানেল মনে করছে, যেহেতু তোফায়েল আহমেদ তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। ছাত্রলীগের ইতিহাসে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ছিলেন। ‘৬৯-এ তিনি ডাকসুর ভিপি ছিলেন। সেহেতু তোফায়েল আহমেদের কাছেই ছাত্রলীগের ডাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দিতে চান। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা শিগগিরই এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন এবং চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, ওবায়দুল কাদের নিজে ডাকসু নির্বাচনে সম্পৃক্ত হতে না পারলে তার অনুগামী এবং বিশ্বস্ত কেউ- যেমন জাহাঙ্গীর কবির নানক বা এনামুল হক শামিমও এগিয়ে আসতে পারেন। তবে এটাও সত্য, নানক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেও তিনি কখনো ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন না। এনামুল হক শামিম ছাত্রলীগের সভাপতি থাকলেও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও ভিপি ছিলেন। এ জন্যই তোফায়েল আহমেদকেই সবদিকে উপযুক্ত মনে করছে দলের নীতি নির্ধারকগণ।