সময় এখন ডেস্ক:
‘ড. কামালের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা তখন কোনো কিছু বলিনি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের কোনো প্রয়োজনই ছিল না। ড. কামাল আমাদের ডুবিয়েছেন। ২০ দলের মত পরীক্ষিত জোটকে বিতর্কিত করতে সরকারের দালালরা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আত্মসমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরে কোনো কর্মসূচি না দেয়ায় আমাদের নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ড. কামালের সমালোচনা করে ক্ষোভের সাথে লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান কথাগুলো বলেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে’ বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘সংহতি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ এখন নিলামে উঠেছে, এ দেশ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মুখে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেন, তাহলে সব দলের সঙ্গে বসে সমাধান করছেন না কেন? এই নির্বাচন আমরা মানি না। আপনি আবারও নির্বাচন দিন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপিকে বলব, ঘরে বসে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবেন না। রাজপথে নামুন, আমরা ছোট দল, শক্তি জোগাতে পারব না, তবে আন্দোলন-সংগ্রামে আপনাদের পাশে থাকব। সরকারকে আহ্বান করব, একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে অলি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা প্রত্যেক দিন বিএনপির নামে গালিগালাজ না করলে মনে হয় তাদের রাতে ঘুম হয় না। এটা তো রাজনৈতিক কথাবার্তা না।
বিএনপি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের এত মাথাব্যথা কেন এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলেন, বিএনপি ভেঙে যাচ্ছে, বিএনপি নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? বিএনপির যারা নির্বাচিত হয়েছে, আশা করি, তারা সংসদে গিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করবেন না।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরপ্রতিক), এনডিপি চেয়ারম্যান আবু তাহের ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় ২০ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, জোটকে কার্যকর রাখতে নিজেদের সমন্বয় প্রয়োজন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছে বিএনপি, কিন্তু ভোটে পরাজয়ের পর কেন আন্দোলনে যাচ্ছেন না? আসলে আমাদের কোথাও গলদ আছে, আমরা বোবা হয়ে গেছি।