চট্টগ্রাম ব্যুরো:
দেশে ইয়াবার প্রধানতম প্রবেশপথ দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার থেকে আসা এক বাসযাত্রীকে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবেশ করার সময় সন্দেহবশত আটক করার পর এক্স-রে করে তার পেটে ২ হাজার ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মো. এনায়েত উল্লাহ নামে ওই ব্যক্তি কক্সবাজারের টেকনাফের একটি মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড় মইজ্জ্যারটেক এলাকা থেকে তাকে আটক করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
৫০ বছর বয়সী এনায়েত উল্লাহ টেকনাফ পৌরসভার ৭ নম্বর জালিয়াপাড়া ওয়ার্ডের মো. ইদ্রিসের ছেলে। তিনি টেকনাফের তুলাতলি জামে মসজিদের ইমাম এবং তুলাতলি ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ।
ওসি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কক্সবাজারের বাস থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ তাকে দেখে সন্দেহ করে। এসময় তাকে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এক্স-রে করানো হলে পেটের ভেতরে ইয়াবা দেখা যায়। পায়ুপথ দিয়ে টিউব আকারে পুঁটলি বেঁধে প্রবেশ করানো সেই ২ হাজার পিস ইয়াবা বিশেষ পদ্ধতিতে বের করা হয়।’
‘মসজিদে ইমামতি এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পরও ইয়াবা বহন করছে কেন, জানতে চেয়েছিলাম। তিনি জানান, ৬ মেয়ে ও ২ ছেলে আছে তার, স্ত্রী আছে, সংসারের খরচ সামলাতে লোভে পড়ে তিনি ইয়াবা পাচারে যুক্ত হয়েছেন।’ বলেন ওসি।
এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
কারা যেন ইয়াবা কারবারিদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে
গত কয়েক দিনে টেকনাফের নাজিরপাড়া, জালিয়ারপাড়া, মৌলভীপাড়া, ছোট হাবিরপাড়া, বড় হাবিরপাড়া, শিলবুনিয়া, ডেলপাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, শিকদারপাড়া, হোয়াখংসহ অনেক গ্রাম সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এসব গ্রামে গড়ে ওঠা ইয়াবা কারবারিদের অনেকের বাড়িঘর বিধ্বস্ত-বিচূর্ণ।
ইয়াবা ব্যবসায়্যীদের এসব বাড়িঘর কীভাবে বা কারা ভেঙেছে জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বলেন, রাতের বেলা কারা ভেঙেছে আমরা তা দেখিনি। শুধু বাড়িঘরই নয়, মাছ ধরার যেসব ট্রলার ব্যবহার করে ইয়াবা কারবারিরা মিয়ানমার থেকে সাগরপথে ইয়াবার চালান নিয়ে আসত সেসব ট্রলারের অনেক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সংখ্যা কমপক্ষে ১৬টি হবে।
4