নোয়াখালী সংবাদদাতা:
নোয়াখালীতে যেন ধর্ষণের হিড়িক পড়েছে! দুই গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার সংবাদ পাওয়া গেছে।
রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠে। ঘটনায় সহযোগিতা করায় শিরিন আক্তার পাখি নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহম্মদ নগর গ্রামের মিয়াজন বাড়ির মোস্তফার ছেলে আলমগীর হোসেন, চরফকিরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রশিদের বাড়ির সাহাব উদ্দিন বাহার এবং তার স্ত্রী শিরিন আক্তার পাখি।
কিশোরীর মা জানান, রাতের খাবার খেয়ে তাদের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে আলমগীর ও বাহার ঘুমিয়ে থাকা তার মেয়েকে তুলে বাড়ির বাহিরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় কিশোরীর ঘুম ভেঙে গেলে সে চিৎকার দেয়। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধর্ষণের চেষ্টায় সহায়তার অভিযোগে বাহারের স্ত্রী পাখিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়। নির্বাচনের রাতে দুর্বৃত্তরা স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। তার স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নামে মামলা করলে এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সুবর্ণচরের ঘটনার ১৯ দিন পর জেলার কবিরহাট উপজেলায় ৩ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়। সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩ সন্তানসহ তাকে জিম্মি করে ধর্ষণ করে ৩ ব্যক্তি। তারাও আটক হয়েছে।