চট্টগ্রাম ব্যুরো:
গণধর্ষণে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে নগরের ফিরিঙ্গিবাজার মেরিনার্স রোডে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই ঘটনায় শ্যামল দে নামে আরও একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
নিহত শাহাবুদ্দিন এবং গ্রেফতার শ্যামল দে দুইজনই পেশায় গাড়ি চালক। পুলিশ জানায়, তারা দুইজন গত রবিবার (২৭ জানুয়ারি) এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সোমবার রাতে তারা ওই মেয়েটিকে আবার তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই বিষয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।
আজ দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোহাম্মদ মহসীন জানান, ‘পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শাহাবুদ্দিনের মৃত্যু হয়। অভিযান চালিয়ে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।’
নিহত শাহাবুদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি কাঁঠালিয়া উপজেলার বিনাপানি গ্রামে সজল জোমাদ্দার নামে এক ধর্ষকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তার বুকে লেমিনেটিং করা একটি কাগজে লেখা ছিল- ‘আমার নাম সজল। মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের কারনে আমার এই পরিণতি।’
গত ১২ জানুয়ারি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাড়ি থেকে পাশের হেতালবুনিয়া নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পানের বরজের ভেতর গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনার প্রধান আসামি ছিল সজল।
তার আগে গত গত ১৭ জানুয়ারি ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’ ট্যাগ গলায় ঝোলানো অবস্থায় সাভারে এক নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ মামলার প্রধান হোতা রিপনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
৫ জানুয়ারি সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে পরদিন ওই নারী মারা যান। সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় রহিম, শিপন ও কারখানার লাইনচিফ রিপনসহ ৫ বখাটে তার গতিরোধ করে ও ধর্ষণ করে।
1