হঠাৎ শাহজালালে ছদ্মবেশে বিমান প্রতিমন্ত্রীর অভিযান!

0

সময় এখন ডেস্ক:

বেশ সক্রিয় ভূমিকায় নেমেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই কোনো প্রটোকল না নিয়ে ছদ্মবেশে বিভিন্ন বিমানবন্দর পরিদর্শন করছেন তিনি।

এরই মধ্যে যাত্রী সেজে গত ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ বার পরিদর্শনে গেছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী। তিনি কাউকে না জানিয়ে নিজের পরিচয় গোপন রেখে যান। বিমানবন্দর ও বিমান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবারও (২৯ জানুয়ারি) তিনি শাহজালালে গিয়েছিলেন। চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে হঠাৎই তিনি শাহজালালে অবতরণ করেন। অপরদিকে, কয়েকদিন আগে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বিমানের জেলা বিক্রয় অফিস পরিদর্শনেও তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখেন। যাত্রীর পরিচয়ে সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

সূত্র জানায়, কোনো প্রকার প্রটোকল ছাড়া শুধু নিজ ড্রাইভারকে নিয়ে ছদ্মবেশে মতিঝিলে বিমানের জেলা বিক্রয় অফিস পরিদর্শনের সময় প্রায় ৩০ মিনিট গ্রাহক সেজে বসে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। বিমানকর্মীরা বুঝে ওঠার আগেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন। সেখানে সেবাদানের ধীরগতি এবং বিমানকর্মীদের সিটে না থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

অন্যদিকে, আজ বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান, মেম্বার (অপস) এয়ার কমডোর মোস্তাফিজুর রহমান ও বিমানের এমডি ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদকে নিয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। পরিচালক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান তাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর শাহ আমানত বিমানবন্দর সম্পর্কে গত এক বছরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে ব্রিফিং দেন পরিচালক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান।

ব্রিফিং শেষে প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে থাকা মাস্কটগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রীদের সমস্যার কথা জানতে চাইলে কয়েকজন যাত্রী বিমানবন্দরের সার্বিক সেবার মান মোটামুটি সন্তোষজনক বলে জানান তার কাছে।

এরপর প্রতিমন্ত্রী প্রত্যেক বিভাগ ঘুরে টয়লেটে গিয়ে দেখতে পান ময়লা ও টিস্যু পেপার নেই। এখানে দাঁড়িয়ে তিনি এ সমস্যা দূরীকরণের জন্য আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় মাহবুব আলী শাহ আমানত বিমানবন্দরে কার্গো কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ ও মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরামর্শ দেন।

এ দিকে বিকেলে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেও একইভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। দুই বিমানবন্দরেই টয়লেট অপরিস্কার, যাত্রীসেবা, বিমানের সময়সূচি ও লাগেজ ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু অনিয়ম দেখতে পেয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!