সময় এখন ডেস্ক:
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে এখন। ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের কাছে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এমন অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুর রশিদ এলেন দুদকে। কথা বলা শেষে গণমাধ্যম যখন তার বক্তব্য দিতে চাইল তখন তিনি দিলেন ভোঁ দৌড়।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুর রশিদকে জেরা করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থার উপ-পরিচালক শামছুল আলম।
জেরা শেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোন কথা বলতে চাননি রশিদ। বরং গণমাধ্যমকর্মীদেরকে এড়িয়ে দৌড়ে গাড়িতে উঠে যেতে চান। এই অবস্থাতেও তার কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।
সরকারি প্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবজাল হোসেনের শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রীতিমতো বিস্ময় জাগিয়েছে। এরপর আরো ২৩ জন কর্মকর্তা দুদকের নজরদারিতে আসেন।
পরিচালক রশিদের বিরুদ্ধে দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে- অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতে হাত রয়েছে তারও। বিদেশে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
বিস্তারিত কিছুই বলতে চাননি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। কেবল বললেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’
দুদকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে কী নিয়ে কথা হয়েছে, সেসব বিষয়ে আরো নানা প্রশ্ন এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত গাড়িতে উঠে দুদক কার্যালয় দ্রুত ছেড়ে যান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
গত ৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর ৪ জনকে তলব করে নোটিশ প্রেরণ করে শামসুল আলম। এরা হলেন- সংস্থাটির পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুর রশীদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট) আনিসুর রহমান ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন।
1