যশোর সংবাদদাতা:
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা যুবতী, নারীদের যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে এমন ৩-৫ হাজার রোহিঙ্গা যুবতী এ ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে বলে জানায় ক্যাম্পকেন্দ্রিক এক দালাল নূরনবী দুলাল (ছদ্মনাম)।
দুলাল জানায়, যুবতীদের থাকা, খাওয়ার সংস্থানের পাশাপাশি নগদ অর্থের বিনিময়ে যৌন ব্যবসায় প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। এই সব যৌনকর্মীর খদ্দের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনীতিক এমনকি মসজিদের ইমাম পর্যন্ত আছেন!
এরই মধ্যে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের এক আবাসিক হোটেল থেকে ৬ রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় এক পাচারকারীসহ ৬টি ভুয়া পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বেনাপোল সীমান্তে অবস্থিত সানসিটি নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার তরুণীরা হলেন- আজিজ তাহারা (১৬), হাফিজা খাতুন (১৯), শরিফ (২০), মনজিদা খাতুন (১৫), সখিনা আক্তার (১৫), ইয়াসমিন আক্তার (১৮) ও পাচারকারী মঞ্জুর আহম্মেদ (২৮)। তাদের সকলের বাড়ি মিয়ানমারে। সেখানে রোহিঙ্গা নিধনের সময় তারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। আটক পাচারকারী মঞ্জুর আহম্মেদের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।
পুলিশ জানায়, তাদের কাছে গোপন খবর আসে ভারতে পাঠানোর উদ্দেশ্যে সীমান্তের একটি আবাসিক হোটেলে বেশ কিছু রোহিঙ্গা নারীকে জড়ো করা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই হোটেল থেকে ৬ রোহিঙ্গা তরুণীকে উদ্ধার ও এক পাচারকারীকেও আটক করে। এ সময় আরেক পাচারকারী পালিয়ে যায়।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) লতিফ জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
দালাল নূরনবী দুলাল সামান্য অর্থের বিনিময়ে প্রতিবেদকের কাছে ফাঁস করে কিছু তথ্য। সে জানায়, বাইরে থেকে মানুষ মনে করে এখানে কোনো খারাপ ব্যবসা হয় না। আশ্রয় শিবিরের বাইরে খদ্দেরদের সঙ্গে মিলিত হয় যুবতীরা। যৌন ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছে যারা তার বেশির ভাগই কিশোরী। দিনে তারা একবারের বেশি খাবার পায় না। স্কুলে যায় না। তারা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে গোপনে, কেউ কেউ তাদের পিতামাতারও অজ্ঞাতে।