বিশেষ প্রতিবেদক:
দেশের শীর্ষস্থানীয় আইন বিশারদ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এবং ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মনে করছেন যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সম্মতি ছাড়াই সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খান শপথ নিলে তা সংবিধান লঙ্ঘন হবে না এবং তাদের সদস্যপদও বাতিল হবে না। তারা বলেছেন যে, সদস্যপদ বাতিল সংক্রান্ত ৭০ অনুচ্ছেদ কেবলমাত্র শপথ নেয়ার পর সংসদীয় কার্যক্রমের জন্য প্রযোজ্য। শপথ নেয়ার আগে এই ধারা প্রযোজ্য নয়।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবিধানে যে ৭০ অনুচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে তা সুস্পষ্ট। একজন ব্যক্তি যখন শপথ নিয়ে সংসদে কাজ করেন, তখন তিনি যদি যে দল থেকে নির্বাচন করেছেন সেই দল থেকে পদত্যাগ করেন কিংবা তিনি যদি দলের বিপক্ষে সংসদে ভোট দেন তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে। এখানে শপথ নেয়ার আগে এ সংক্রান্ত কোন বিধিনিষেধ নেই। তিনি বলেন যে, কোন দল থেকে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন সেটা বড় বিষয় নয়, সংসদে আপনি কোন দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেটিই হলো বড় কথা। তাই ৭০ অনুচ্ছেদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুরদের শপথ নেয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা হবে না।
একই অভিমত ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খান যে দলের হয়ে নির্বাচন করেছেন, সংসদে তিনি সেই দলকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তার শপথ নেয়ার ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ নেই। যদি বিএনপির সবাই শপথ গ্রহণ করতো এবং সংসদে যেতো সেখানে যদি তিনি দল থেকে পদত্যাগ করতেন কিংবা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতেন তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল হতো।
এখানে উল্লেখ্য যে, সুলতান মোহাম্মদ মনুসর ধানের শীষ প্রতীক ‘ভাড়া’ নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তিনি দলে যোগ দেননি। এরকম ভাড়া নিয়ে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সংবিধানে কোন কিছু উল্লেখ নেই এবং বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন। তবে দুই বিশিষ্ট আইনজীবীই মনে করেন, যেহেতু বিষয়টি নতুন এবং যে দু’জন নির্বাচিত হয়েছেন তাদের দায়বদ্ধতা জনগণের কাছে। কাজেই এখানে তারা কোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেন বা কোন দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেটা বড় কথা নয়। জনগণ যেহেতু তাদের নির্বাচিত করেছে, কাজেই তাদের শপথ নেয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই।
1