সময় এখন ডেস্ক:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশের নতুন সরকারের সঙ্গে এক সাথে কাজ করতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তিরিঙ্ক শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। খবর বাসসের
রাষ্টদূত বলেন, বাংলাদেশ বিগত এক বছরে ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন করেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও অগ্রসরমান প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। আমি মনে করি কাঙ্খিত এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করা নতুন সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
কসমস ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন নগরীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ই্উরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শিরোনামের এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনীতির সুফল দেশের সকল মানুষের মধ্যে সমবন্টন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রবৃদ্ধির সুফল সকলের মধ্যে সমহারে বন্টন করতে না পারলে দারিদ্র্য পুরোপুরি বিমোচন হবে না।
রাষ্ট্রদূত ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি’র অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার বাংলাদেশের ভিশন ও পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এটি হবে একটি সাফল্যের গল্প।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই চমৎকার এবং বিভিন্ন বিষয়ে উভয় পক্ষই একে অপরের মঙ্গল কামনা করে।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে গত ১৯ জানুয়ারি ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান ও বাংলাদেশে সংস্থাটির দূত রেন্সজে তিরিঙ্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার এবং ‘গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত’ থাকার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তারা সুশাসন, গভীর অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়ন সহযোগিতাসহ দু’পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন জানান রেন্সজে তিরিঙ্ক। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইইউকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যবসা, বেসরকারি খাত, শিক্ষাসহ সব পর্যায়ে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।
1