সময় এখন ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, হাজার বছর ধরে পরাধীন বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করেছে। কিন্তু কোন সংগ্রাম বাঙালিকে স্বাধীনতার পূর্ণতা এনে দিতে পারেনি। নানা মত ও পথের সকল বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই বাঙালির আত্ম পরিচয়ের একমাত্র ঠিকানা বঙ্গবন্ধু।
মঙ্গলবার রাতে স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ঘাতকচক্র এ দেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কালের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মাধ্যমে ঘাতকদের ষড়যন্ত্রের জবাব অব্যাহত আছে।
সংগঠনের আহবায়ক প্রফেসর নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক বিপুল চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির আত্মপরিচয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব সৈয়দ জাফর আলী।
আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, শোক দিবস পালন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর জিয়াউল হক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আমিরুল ইসলাম পলাশ।
সভায় বক্তারা বলেন, কোন অপশক্তি শিক্ষা পরিবারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কালিমালিপ্ত করতে পারবে না। একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
১৫ ও ২১ আগস্টের মূল কুশীলব জিয়া পরিবার: বিচারপতি মানিক
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব ছিলেন পিতা জিয়াউর রহমান ও পুত্র তারেক রহমান। ২৯ বছরের ব্যবধান হলেও এ দুটি ঘটনার মধ্যে প্রচুর মিল রয়েছে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ড: জেনারেল জিয়া থেকে তারেক জিয়া’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নাম মুছে ফেলা। একইভাবে ২১ আগস্ট ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ১৫ আগস্টে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করা। এই দুটি হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীদের রক্তের মিল আছে। এ দুটি ঘটনার মূল কুশীলব ছিল পিতা-পুত্র।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্র ছিল সে সময়ের প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে আর ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্র ছিল সরকারের প্রতিষ্ঠিতদের দ্বারা যেখানে সরকারি নির্দেশে প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে।
এই দুই দিবসেই কিছু লোক বিদেশি একটি দেশের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করেছে। ২১ আগস্টের হামলার ঘটনায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা অংশ নেয়ার কথা বিচারিক আদালতই বলেছেন। আর ১৫ আগস্টের ঘটনায় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে কুশীলব মন্ত্রীরা আওয়ামী লীগের সদস্য হলেও পরে জানা যায়, তারা শুরু থেকে পাকিস্থানপ্রেমী অর্থাৎ বিএনপি-জামাত আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। ১৫ আগস্টের আগে দেশি-বিদেশি যড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে থাকা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
একইভাবে ২১ আগস্টের আগে বিএনপি-জামায়াত সরকার মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের ডিজিএফআই, এনএসআই এবং পুলিশ প্রধান পদে পদায়ন করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্থানপ্রেমীরা এখনও তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এদের থামানো নাগরিকদের দায়িত্ব।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মওলানা আবুল হোসাইনসহ অনেকে।