যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে এটা আশা করি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

কূটনৈতিক ডেস্ক:

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত মানবাধিকারের রিপোর্টে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যে সরকার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য সরকারের কাছ থেকে এটা আশা করে না। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

শনিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন জানান, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে।

সেখানে এ বিষয়টি উঠবে কি না- জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অবশ্যই। এর আগেও আমি বারবার এই বিষয়ে কথা বলেছি। আমি বলেছি তারা যদি সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চায় তা হলে বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। কান কথা শুনে ও মিডিয়া দেখে রিপোর্ট লেখা ঠিক না। যুক্তরাজ্যের মতো পরিপক্ক সরকারের কাছ থেকে আমরা এটা আশা করি না।

মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য অনেক দেশ এ রকম কান কথা শুনে বিবৃতি তৈরি করে যা কোনও ম্যাচিউর দেশের কাছ থেকে আশা করা যায় না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে তাসখন্দে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়। তারা কোনও কারণ ছাড়াই বাংলাদেশের জন্য রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। আমার থেকে বেশি লোক মারা গেছে ভারতে কিন্তু তাদের রেড অ্যালার্ট দেয় নাই।

তিনি বলেন, কেউ বলে এর কারণ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাকিস্থানি বংশোদ্ভূত, কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না।

উল্লেখ্য, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র-সম্পর্কিত ২০২০ সালের ‘ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়। সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকা এমন ৩২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওই প্রতিবেদনকে ‘বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা চাই, তারা যে তথ্য দেবে তা যেন তথ্যনির্ভর হয়। বানোয়াট হলে গ্রহণযোগ্য হবেনা। মনে হবে, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করেছে। দিস ইজ নট গুড। তাদের প্রথমে নিজেদের ফেস দেখা উচিত। তারপর মাতব্বরি করলে ভালো হয়।

একই অবস্থা দেখি আমেরিকানদের ক্ষেত্রেও। আমার কাছে হিসাব আছে, ২০২০ সালে আমেরিকাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ৮৫ হাজার। আমাদের বছরে ৬/৭শ। এটা কল্পনারও বাইরে। তারা আমাদের উপদেশ দিতে আসে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!