বিনোদন ডেস্ক:
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই সবার জানা। তার একাধিক প্রেম ও বিয়ের গল্পগুলো অজানা নয়। তবে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে নাম-পরিচয় লিপিবদ্ধের সময় নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেছেন তিনি।
এমনটাই জানা গেলো গণমাধ্যমের খবরে। বর্তমানে পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, কারাগারের রেজিস্ট্রারে বন্দীদের নাম-পরিচয় সব লেখা হয়। পরীমনির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। ১৪ আগস্ট সকালের দিকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একজন ডাক্তার। এরপর কারা কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারে তার নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান।
ওই সময় কারা কর্মকর্তা তার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে পরীমনি জানান, মশার কারণে রাতে ঘুমাতে পারেননি। এছাড়া একসঙ্গে এতজন মিলে থাকতেও তার সমস্যা হচ্ছিল।
পরে কারা কর্মকর্তারা নায়িকাকে বলেন, কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দী হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।
আপনি ম্যারিড, নাকি আনম্যারিড- কারা কর্মকর্তার এই প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, আমি আনম্যারিড।
কারাগারের রেজিস্ট্রারে সেই তথ্যই লেখা হয়েছে। যদিও পরীমনির একাধিক বিয়ের খবর প্রচলিত আছে।
জানা গেছে, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দীদেরকে নিজের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া আবশ্যক। যা নথিবদ্ধ হয়। কেউ কয়েদিদের সাথে দেখা করতে এলে বা মুক্তির সময় বিভিন্ন ধরণের তথ্যের প্রয়োজন হয়।
প্রসঙ্গত, পরীমনির একাধিক বিয়ের খবর জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে। ছোট বেলায় তার নানা তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর সৌরভ নামের এক ব্যক্তিকে নিজ পছন্দে বিয়ে করেছিলেন বলে শোনা যায়। সেটাও টেকেনি।
গত বছরের মার্চে নির্মাতা কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেন পরীমনি। ৩ টাকা কাবিনের সেই আলোচিত বিয়েও কয়েক দিন পরই ভেঙে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে এলএসডি, আইসসহ বিভিন্ন ধরণের মাদকসহ পরীমনিকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে র্যাব। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি এবং ব্ল্যাকমেলিংয়েরও অভিযোগ মিলেছে।
এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তিন দফায় ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রিমান্ড শেষে গেলো ২১ আগস্ট দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হলেও জামিন পাননি তিনি।
ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এই নায়িকাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বুধবার (২৫ আগস্ট) জামিন শুনানির ধার্য তারিখ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।