সময় এখন ডেস্ক:
দায়িত্বরত অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্য মারা গেলে তার পরিবারকে ৮ লাখ এবং আহতের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরীহ জনগণকে কোনও ধরনের হয়রানি করবেন না। পুলিশের ওপর জনগণ যেন আস্থা রাখতে পারে সেভাবে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে তারা হয়রানির শিকার হলে ও বিপদে পড়লে তাদের সহযোগিতা করুন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশ যেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, তেমনি মাদক নির্মূল ও নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতেও তাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পুলিশকে বহুমুখীভাবে গড়ে তুলেছি, যাতে সর্বক্ষেত্রে মানুষ সুবিধা পায়। আমরা নতুন নতুন বিভাগ গড়ে তুলেছি। নতুন থানা, রেঞ্জ, র্যাব কার্যালয় গড়ে তুলেছি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য। তাছাড়া পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সারাদেশে ৩০টি ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়েছে। আমরা পুলিশদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে জনবান্ধব পুলিশে পরিণত হবে- এটাই আমার প্রত্যাশা। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলবেন।
বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি: ৩৪৯ পুলিশকে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৩৪৭ জন সদস্য ও দুই নিহত পুলিশের পরিবারকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম, বিপিএম-সেবা, প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএম ও পিপিএম-সেবা পরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪০ জন বিপিএম ও ৬২ জন পিপিএম পদক গ্রহণ করেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১০৪ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-সেবা এবং ১৪৩ জন পিপিএম-সেবা পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ২ জন মরণোত্তর বিপিএম পদক পাচ্ছেন। তারা হলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক জালাল উদ্দিন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কনস্টেবল শামীম মিয়া। তাদের পরিবারের সদস্যদের মেডেল পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগের প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের প্যারেড দেখেন।