বিনোদন ডেস্ক:
কারাগার থেকে বাসায় ফিরেই ধাক্কা খেলেন পরীমনি। জানতে পারলেন, বনানীর বাসাটা তাকে ছেড়ে দিতে হবে। বিকেল সাড়ে ৪টায় এমনটাই জানালেন আলোচিত এই নায়িকা।
পরীমনি বললেন, কারাগার থেকে ঘরে ঢোকার পর বাসা ছাড়ার নোটিশ দেখতে পেলাম। এখন কি তাহলে আমার বসবাসের অধিকারটা পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে ওরা? ওরা যা চেয়েছিল, তা-ই কি হচ্ছে? আমি কি তাহলে ঢাকা ছেড়ে চলে যাব, নাকি দেশ ছেড়ে চলে যাব?
ক্ষুব্ধ পরীমনি বললেন, এখন এই মুহূর্তে আমাকে কে বাসা খুঁজে দেবে? কোথায় থাকব আমি?
পরীমনি জানালেন, ৪ দিন আগে তাকে এই বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বাসায় ফিরে জানতে পারেন তিনি।
পরীমনি বললেন, আমি তো একা থাকি না। আমার বয়স্ক নানুভাই আছেন। হঠাৎ করে এসব কী! হঠাৎ করে কই যাব, সেটা কি কেউ বলতে পারেন?
২৭ দিন আটক থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পরীমনির মুক্তির অপেক্ষায় স্বজনেরা আজ সকাল থেকেই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের সামনে অবস্থান করছিলেন। পরীমনি মুক্তি পাবেন— এই খবর পেয়ে ভোর থেকে কারা ফটকে উৎসুক মানুষ তাকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তাদের উদ্দেশে হাত নাড়ান এই চিত্রনায়িকা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস পরীমনির জামিনের আদেশ দেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
মাদকের মামলায় তার ৫ আগস্ট ৪ দিনের, ১০ আগস্ট ২ দিনের ও ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২২ আগস্ট পরীমনির পক্ষেতাঁর আইনজীবীরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
তবে জামিন শুনানির জন্য ২১ দিন পর দিন ধার্য করায় ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পরীমনি।
পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি ২১ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।