বিনোদন ডেস্ক:
চিত্রনায়িকা পরীমনি ২৭ দিন পর কারামুক্ত হয়ে বনানীর বাসায় ফিরেছেন। এদিকে নায়িকার ফেরার খবর শুনে সকাল থেকেই তার বাড়ির সামনে উৎসুক জনতা ভিড় করতে শুরু করে। এমন ভিড়ের কারণে পরীর পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ভীষণ বিব্রত।
এমনকি বাড়ির মূল ফটক তালাবন্দী করে ভেতর থেকে পলিথিন টাঙিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
পরীমনির বাড়ির কেয়ারটেকার মিজান গণমাধ্যমকে জানান, ফ্ল্যাট মালিকদের নির্দেশে মূল গেটে পলিথিন ঝোলানো হয়েছে। নিচতলায় ফ্ল্যাট মালিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং রয়েছে। সেসব গাড়ির ছবি যাতে না আসে এই কারণে মালিকদের নির্দেশে পলিথিন ঝুলিয়েছি।
পরীমনির পাশের ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এ বাড়িতে অনেক ভদ্র মানুষরা থাকেন। একটি পরিবারের জন্য এ বাড়ির সুনাম নষ্ট হতে বসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পরীমনির জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। নারী, অভিনেত্রী ও অসুস্থতা বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তিনি পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন পরীমনির পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ অনেকে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন। তবে দুপুরে জামিন আদেশ দিলেও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরীমনির জামিনের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছানোয় সেদিন তার মুক্তি মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানীর বাসায় প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরীমনি ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরণের উচ্চ পর্যাযেল মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাকে নেয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন নায়িকা। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন।
পর্নগ্রাফি নির্মাণের দায়ে গ্রেপ্তারকৃত চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।