মিডিয়া আমার বেডরুম পর্যন্ত দেখিয়েছে: পরীমনি

0

সময় এখন ডেস্ক:

আটকের পর থেকে মুক্তি পর্যন্ত ২৭ দিন একটা দুঃস্বপ্ন ছিলো বলে জানিয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি।

টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন সাম্প্রতিক সময়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পূর্বাপর। এ সময় তিনি বলেন, ওগুলা একটা ভুলভাল স্বপ্ন ছিলো। একটা দুঃস্বপ্ন ছিলো ২৭ দিন।

আটক থাকা অবস্থায় তার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানামুখী আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরীমনি বলেন, মানুষের তো রক্তগরম। একটু কিছু হলেই কি সব করে ফেলে, বলে ফেলে। তবে আমার সাথে এখন আর কোনকিছু করেই লাভ নেই। যা করার মিডিয়া করে ফেলছে। আমার তো সবকিছু খুঁজে বের করেছে। আর কিছু বাকি নেই।

সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমের এই প্রবণতা তার উপর টর্চার বলে মন্তব্য করেছেন এই চিত্রনায়িকা।

এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মিডিয়া আমার চুলা, আমার বেডরুম পর্যন্ত দেখিয়েছে। বেডরুম একটা প্রাইভেট জায়গা। অথচ বেডরুমের টয়লেট পর্যন্ত দেখিয়ে দিয়েছে। কি করার আছে আমার? আমার কিচ্ছু করার নাই।

এ রকম পরিস্থিতিতেও তার মানসিক দৃঢ়তা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। কীভাবে এতো শক্ত হলেন পরীমনি?

এ বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে বলেছে আমি এতো স্ট্রং কীভাবে হলাম। আমি যদি কিছু করে থাকি তাহলে না আমি দুর্বল থাকবো। আমি তো দুর্বল হওয়ার মতো কিছু করিনি। কেন আমি মাথা নত করবো?

এ সময় নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী পরীমনি জানান, আমার ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। আমার সাথে এসব চলবে না, চলে না। আমি মাথা নত করবো না।

বাসায় সাংবাদিক প্রবেশের বিষয়ে পরীমনি বলেন, সেই শুরু থেকে ৭ বছর একা বনানীর এই বাড়িতে আছি আমি। এই বাড়ির সবাই আমাকে খুব ভালোবাসে। আমি সেভাবেই চলাফেরা করেছি।

আলোচিত এই চিত্রনায়িকা বলেন, কেউ আমার দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। এই বাসায় আমার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখেন।

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, একটা মানুষও কিছু বলতে পারবে না। আমি কখনো উগ্রভাবে চলিনি। কেউ বলতে পারবে না আমার বাসায় রাত-বিরাতে মানুষ এসেছে। তারপরও নানারকম কথাবার্তা হয়েছে আমাকে নিয়ে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে সরাসরি কথা বলার জন্য আমার জান ফেটে যাচ্ছে। কতো কী যে হয়েছে, এগুলা না বলে তো আমি মরতে পারিনা।

কিন্তু বাসার পরিবেশ নষ্ট হবে বলে আপনাদের ডাকতে পারছি না। এখানকার বাসিন্দারা আমার নানুর কাছে অনুরোধ করেছে, প্রেস ব্রিফিং বা কনফারেন্স কিছু করলে সেটা যেন অন্য কোথাও করা হয়।

বাসা বদল সম্পর্কে পরীমনি বলেন, আমি এই বাসা বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, পুরো দেশের মানুষ আমার এই বাসার ঠিকানা জানে।

এটা তো হতে পারে না। কেউ তো তার সব আত্মীয়-স্বজনকেও বাসার ঠিকানা দেয় না। কতো রকম মানসিকতার মানুষ আছে। আমি নিরাপদ বোধ করছি না। কিভাবে এই বাসায় থাকি বলেন?

৫ আগস্ট অভিযান পরিচালনার আগে লাইভে আসা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, মানুষ কিছু না বুঝেই বলছে, ক্লিভেজ দেখিয়ে লাইভে এসেছে পরীমনি।

কই এতোদিন তো আমি এভাবে ঠুস করে লাইভে আসিনি, এবার কেন আসলাম? আসলে এটা ফ্রাস্ট্রেটেড জাতি। কিন্তু সত্য তো সত্যই। সত্য সবথেকে সুন্দর। সত্যই হচ্ছে শক্তি। এর বাহিরে কিচ্ছু নাই।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!